Chandannagar Court: ‘এক যুগ’ পর ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল আদালত

Ashique Insan | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 31, 2023 | 8:24 AM

Chandannagar Court: জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ১০ জুন হুগলির তারকেশ্বর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এক যুবতী একটি বেসরকারি কোম্পানির তৎকালীন সেক্রেটারির বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।

Chandannagar Court: এক যুগ পর ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল আদালত
চন্দননগর আদালত (ফাইল ছবি)

Follow Us

চন্দননগর: বেকসুর খালাস পেলেন ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত। সঠিক তথ্য প্রমাণের অভাবে মঙ্গলবার চন্দননগর আদালতের অ্যাডিশনাল সেশন জজ আবদুল হাসেম কাজি অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেন। এক মহিলাও এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁকেও জামিন দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। এ দিন, মোট বারো জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ১০ জুন হুগলির তারকেশ্বর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এক যুবতী একটি বেসরকারি কোম্পানির তৎকালীন সেক্রেটারির বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। অভিযুক্তকে সাহায্য করার জন্য নাম জড়িয়ে পড়েন অন্য এক মহিলাও। এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছিল তারকেশ্বর থানা। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৭৬,৪১৬,২৯২,১২০/বি এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ১২ জনের সাক্ষ্য গৃহীত হয়। এরপর মঙ্গলবার চন্দননগর আদালতের অ্যাডিশনাল সেশন জজ আবদুল হাসান কাজী অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেন।

অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী ছিলেন প্রতিম সিংহ রায়,তাঁকে সাহায্য করেন দেবাশীস দে ও চিন্ময় সিংহ রায়। প্রতিম সিংহ রায় বলেন, “আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। আমরা আদালতে তা প্রমাণ করে দিয়েছি। মক্কেলের থেকে চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল। তা না দেওয়ায় এই মামলা করা হয়। আদালত সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়।”

অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন, “ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়। সে সময় বাড়ি থেকে বের হতে পারছিলাম না লজ্জায়। এক যুগ পর এই রায় মাথা উঁচু করে চলতে সাহায্য করবে।”

এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত পিপি সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি এই মামলায় স্পেশাল পিপি হয়ে আদালতে সওয়াল করেন। সুব্রত ভট্টাচার্য্য বলেন, “এটা অন্য কোনও মামলা নয়। ধর্ষণের মত গুরুতর মামলা। এই মামলায় যদি অভিযুক্ত খালাস হয়ে যায় সেটা খুবই হৃদয়বিদারক হয় অভিযোগকারিনীর কাছে। তিনি আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের কপি অন্যান্য নথি সংগ্রহ করতে বলেছি।এই রায়ে আমরা খুশি হতে পারিনি তাই এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে যাব। আগামী ষাট দিনের মধ্যে হাইকোর্টে অ্যাপিল করব।”

Next Article