
হুগলি: নিরাপত্তার চাদরে চন্দনগর। কন্ট্রোল রুম থেকে বাড়তি সিসিটিভি ক্যামেরা। আনা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনীও। এককালের ফরাসিদের আস্তানা ফের একবার তৈরি হয়ে গিয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠতে। যার উদ্বোধন হয়ে গেল শনিবার সন্ধ্যায়। এদিন চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে বেলুন উড়িয়ে সম্পন্ন হল পুজো উদ্বোধন। পাশাপাশি, উদ্বোধন করা হয়েছে গাইড ম্যাপের। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, চন্দনগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, মেয়র রাম চক্রবর্তী ও ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল।
উৎসবকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাতে কোনও কমতি নেই চন্দনগরে। শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে সেই বার্তাই দিলেন চন্দনগরের পুলিশ কমিশনার। এদিন তিনি বলেন, ‘পুজো এগিয়ে এসেছে ঠিকই কিন্তু আড়ম্বরে কোনও ঘাটতি নেই। লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী শহরে ভিড় করবেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঠাকুর দেখতে আসবেন। তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।’
পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, গোটা চন্দনগরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আনা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি। শুধুমাত্র উৎসবকে মাথায় রেখেই বাড়তি ৩০০টি সিসি ক্য়ামেরা বসানো হয়েছে শহরজুড়ে। এছাড়াও, সর্বক্ষণ মনিটরিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৩টি কন্ট্রোল রুম। যেখান থেকে ২৪ ঘণ্টা নজদারি চালাবেন পুলিশ কর্মীরা।
জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দনগরের আলোর বাহার দেখতে রাজ্য়ের একাধিক প্রান্ত থেকে এসে জড়ো হন বহু মানুষ। তাই চলতি বছর ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পুজোর দিন গুলিতে প্রায় তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে শহরে। একাধিক সেক্টরে বিভক্ত করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ৬ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক। সঙ্গে থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২০ জন আধিকারিক এবং ইন্সপেক্টার পদমর্যাদার ৩৫ জন আধিকারিক। সুইপিং পার্টি থাকবে ৫০ টি বাইকে। এর পাশাপাশি, ড্রোন দিয়েও চলবে নজরদারি।
ষষ্ঠী অর্থাৎ সোমবার থেকে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেদিন দুপুর দু’টো থেকে পরদিন সকাল ছ’টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী গাড়ি। শহরে ঢোকার মোট ৪৪টি জায়গায় থাকছে ‘নো এন্ট্রি’। এই সময়কালে নারী নিরাপত্তায় রাস্তায় থাকছেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা, উইনার্স টিম, পিঙ্ক মোবাইল টিমের মহিলা পুলিশ কর্মীরাও।