
হুগলি: বয়স মাত্র তিন বছর। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়তে গিয়ে কড়া ‘শাস্তি’র মুখে পড়ত হল পুঁচকে ওই ছাত্রকে। অভিযোগ, তিন বছরের পড়ুয়ার গালে কষিয়ে চড় মারেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক শিক্ষিকা। তিনি আবার তৃণমূলও করেন, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও। সেই শিক্ষিকার মারে ওই ছোট্ট গালে পাঁচ আঙুলের ছাপ পড়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির সিঙ্গুরের বড়া বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
অভিযোগ, শুক্রবার সকালে স্কুল চলাকালীন তিন বছরের ওই পড়ুয়ার গালে চড় মারেন অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের শিক্ষিকা যাদবী ঘোষ। ওই শিক্ষিকার দাবি, তিনি এরকম কিছুই করেননি। তবে এলাকার লোকজনের দাবি, তিনি যে মেরেছেন তার সাক্ষী অনেকেই।
এই ঘটনার পর ওই শিক্ষিকাকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে সিঙ্গুর থানার পুলিশ পৌঁছয় সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্রিমা হাইতের কথায়, “উনি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। আবার পড়ানও। বাচ্চাটাকে এমন মেরেছে কিছুক্ষণ ওর হুঁশ ছিল না। গালে দাগ পড়ে গিয়েছে। ওনাকে জিজ্ঞাসা করায় বলছেন মারেননি। এরপর থানায় খবর দেওয়া হয়।”
এলাকার লোকজনের কথায়, একটা তিন বছরের বাচ্চা এমন কী বা করতে পারে, যার জন্য এভাবে মারা হবে? আর দুষ্টুমির কথাই যদি বলা হয়, একটা তিন বছরের বাচ্চা দুষ্টুমি তো একটু করবেই। চন্দ্রিমা হাইত বলেন, এর আগেও অভিযুক্ত শিক্ষিকা বাচ্চাদের গায়ে হাত তুলেছেন। যদিও যাদবী ঘোষের দাবি, “এখানে ৬ মাস কাজ করছি। এরকম অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। এ কাজ আমি করিনি। করতে পারি না। এটা ইচ্ছা করে করা হচ্ছে।”