হুগলি: কোন্নগরে আট বছরের শ্রেয়াংশু শর্মা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তার মা শান্তা শর্মা ও তাঁর বান্ধবী ইফফাত পারভিনকে। কিন্তু এই ঘটনার নৃশসংতা আর বিভৎসতায় কেঁপে গোটা এলাকা। পরিবারের সদস্যরা তো দূরের কথা, এলাকাবাসীরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না নিজের মা তাঁর সন্তানের খুনে অভিযুক্ত! আদর্শনগরের বাসিন্দরা হতবাক। তাঁদের বক্তব্য, সম্পর্কের টানাপোড়েন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা যাই হোক না কেন, সন্তান খুন কীভাবে মেনে নেওয়া যায়? শিশু খুনে দোষীদের গ্রেফতার চেয়ে শান্তি মিছিল করেছিলেন এলাকাবাসী। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আগের দিন এরকম একটা ঘটনা ঘটল, তার পরের দিন কীভাবে পোষ্য কুকুরকে আদর করছিল। আমাদের তখনও দেখে মায়াই হয়। ভাবি, সন্তানকে হারিয়ে পোষ্যকে আঁকড়ে ধরেছে। কিন্তু এত নির্মম ভাবতে পারিনি।”
তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ দেখে বুঝেছিল পরিচিত কেউ এই খুনে যুক্ত। ফিঙ্গার প্রিন্ট, রক্তের নমুনা, ফোন কল রেকর্ড টাওয়ার লোকেশন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ এই বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
শিশুর মা আর তাঁর বান্ধবীকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রিজন ভ্যানে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুর মা শান্তা শর্মা দাবি করেন, তিনি খুন করেননি। নিজের ছেলেকে কেই খুন করতে পারে না। তাহলে কি তাঁর বান্ধবী ইফফাত পারভিন খুন করেছেন, সে প্রশ্নে তার উত্তর দিয়েছেন ‘জানি না’। তবে পুলিশ এটা জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন বান্ধবী তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় খুন হয় শ্রেয়াংশ। প্রথমে ইট দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করা হয়। এরপরই ছুরি দিয়ে লাগাতার আক্রমণ চলে। বাড়ির গণেশ মূর্তি দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় আট বছরের বাচ্চাটির মাথা।