Arambag Medical College: সরকারি হাসপাতাল থেকে বাচ্চা চুরি? তুমুল হইচই

জানা গিয়েছে, হুগলির তারকেশ্বরের বালিগোড়ির বাসিন্দা জাসমিনা বেগমকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রবিবার ভোরে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। সদ্যোজাতর অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুটিকে মেডিকেলের এসএনসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বুধবার পরিবারের লোকজন শিশুর খোঁজ করেন।

Arambag Medical College: সরকারি হাসপাতাল থেকে বাচ্চা চুরি? তুমুল হইচই
হাসপাতাল থেকে বাচ্চা গায়েবImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 27, 2025 | 1:57 PM

আরামবাগ: সরকারি হাসপাতালে প্রথমে রক্ত অদল-বদল করার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী, ভুল রক্ত দেওয়ায় এক রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার আরামবাগ মেডিকেল কলেজ থেকে সদ্যোজাত বদলের অভিযোগ। পাশাপাশি, তিনদিনের শিশুকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে। ভুলবশত অন্য পরিবারের হাতে শিশুর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার শিশু ফিরে পেতে আরামবাগ থানায় শিশু নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

জানা গিয়েছে, হুগলির তারকেশ্বরের বালিগোড়ির বাসিন্দা জাসমিনা বেগমকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রবিবার ভোরে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। সদ্যোজাতর অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুটিকে মেডিকেলের এসএনসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। বুধবার পরিবারের লোকজন শিশুর খোঁজ করেন। অভিযোগ, তখন হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয় যে, মঙ্গলবার রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ভুলবশত আরামবাগের বড়ডোঙ্গলের একটি পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও বড়ডোঙ্গলের ওই পরিবারের দাবি, এব্যাপারে তারা কিছু জানে না। তাঁদের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে দেহ তুলে দেওয়া হয়। শিশুটিকে কবরস্থ করে দেওয়া হয়েছে।

এরপর ওই পরিবারের অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় ফের ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের বাচ্চা জীবিত রয়েছে। এরপরই ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তারকেশ্বরের বালিগোড়ির পরিবারটি। তাঁদের সন্দেহ, শিশুটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আসল বাচ্চার হদিশ পেতে জীবিত শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষারও দাবি তুলেছে তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মেডিকেল কর্তৃপক্ষও ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে এই ঘটনায় মেডিকেল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ সামনে আসছে।

“আমার মনে হচ্ছে বাচ্চা চুরি হয়ে গেছে। সোমবার ভর্তি করেছিলাম আমার স্ত্রীকে। ওরা একবার বলছে বেঁচে আছে। আর একবার বলছে মারা গেছে।” শিশুর আত্মীয় রউসোনা বেগম বলেন, “বাচ্চা হওয়ার পর কাচের ঘরে রেখে আসা হয় তাকে। এরপর হাসপাতাল থেকে প্রসূতির শাশুড়িকে বলা হয়, বাচ্চার অবস্থা খারাপ। টিপ সই দিয়ে শিশুকে দেখায়। তখন বাচ্চা বেঁচে ছিল। বুধবার সাড়ে আটটায় সময় বাচ্চা মারা যায় বলল আমাদের। এরপর সাহানারা বেগম নামে এক মহিলা বাচ্চাকে নিয়ে চলে যায়। কালকে আর আমাদের কিছু বলেনি হাসপাতালের তরফে। আমরাই বাচ্চাকে যখন দেখতে চাই তখন আমাদের বলল যে বাচ্চা তো নিয়ে চলে গেছে।”

এ প্রসঙ্গে ভুলের কথা স্বীকার করেছেন আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. রমাপ্রসাদ রায়। তিনি বলেন, “SNCU ভর্তি ছিল একটি বাচ্চা। সে মারা গিয়েছিল। তার ওজন দেড় কেজি। যখন নাম ধরে ডাকা হয়েছিল বাড়ির লোককে তখন একজন আসেন এবং তাঁকে আমরা মৃত বাচ্চাটিকে দিয়েছিলাম। কিন্তু তথ্যটা যাচাই করা হয়নি।  এই মৃত শিশুটিই এই পরিবারের সন্তান। অন্য যে শিশুটিকে প্রথমে দেওয়া হচ্ছিল সেই শিশুটি এদের নয়। আমি পুলিশকে জানিয়েছিলাম। এই ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশ একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। আমরাও অফিসিয়ালি প্রাএনকোয়ারি করেছি।”