Chinsurah Court: প্রেমিকের জন্য ‘সুপারি কিলার’ দিয়ে স্বামীকে খুন, স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত, বড় কোনও সাজা?

Hooghly: পোলবা থানার পাটনা গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ মাল। ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ তাঁকে গলা কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ যখন খবর পেয়ে তদন্তে যায়, কৃষ্ণর স্ত্রী রিনা মাল আধিকারিকদের জানান, বাড়িতে ডাকাত পড়েছিল।

Chinsurah Court: প্রেমিকের জন্য সুপারি কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন, স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত, বড় কোনও সাজা?
স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করল কোর্টImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 24, 2025 | 4:48 PM

পোলবা: প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন মহিলা। সেই পথে ‘কাঁটা’ হয়েছিলেন স্বামী। তাই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। খুনের সুপারি দিয়েছিলেন স্ত্রী। নাবালক ছেলের সাক্ষীতে বারো বছর পর দোষী সাব্যস্ত মা সহ সাতজন।

পোলবা থানার পাটনা গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ মাল। ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ তাঁকে গলা কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ যখন খবর পেয়ে তদন্তে যায়, কৃষ্ণর স্ত্রী রিনা মাল আধিকারিকদের জানান, বাড়িতে ডাকাত পড়েছিল। তাঁকে আর ছেলেকে হাত বেঁধে তাঁর স্বামীকে খুন করে গহনা টাকা লুট করে নিয়ে গিয়েছে ডাকাত দল। দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধর্ষণ করে বলেও সে সময় অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। পোলবা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে।

কৃষ্ণ মালের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রিনা মালের বয়সের ফারাক ছিল প্রায় কুড়ি বছরের। তাঁদের বারো বছরের এক ছেলে রয়েছে। মহিলা স্বামীর সঙ্গে সুখি ছিলেন না। এরপর বলাগড়ের জিকো পাল নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। জিকো বলাগড় থেকে পোলবায় যাওয়া আসা করতেন বাইক নিয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই প্রেমিকের সঙ্গে যুক্তি করে পাঁচজন দুষ্কৃতীকে সুপারি দেওয়া হয় কৃষ্ণকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার। পরিকল্পনা মাফিক ঘটনার দিন দুষ্কৃতীরা গভীর রাতে কৃষ্ণর বাড়িতে ঢোকে। দরজা খুলে দেন রিনা। ডাকাতি করতে এসে গৃহকর্তাকে খুন করেছে ডাকাতরা এমনই পরিকল্পনা করা হয়।

কিন্তু পুলিশি তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিনা-জিকোর সঙ্গে প্রেম, তাঁর স্বামীকে খুন, সাজানো ডাকাতি, সব পরিকল্পনা জানতে পারে তদন্তকারীরা। এরপর ওই বছরের ৪ এপ্রিল একে একে অভিযুক্ত, রিনা মাল, জিকো পাল, দীপঙ্কর পাল, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, লক্ষীকান্ত চক্রবর্তী, অভিজিৎ চক্রবর্তী, রাজা দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে চুঁচুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ রায় চৌধুরী বলেন, “এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষী দেয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মৃতের নাবালক ছেলের বয়ান। ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছিল তা মেডিক্যাল পরীক্ষায় প্রমাণ হয়নি। আজ চুঁচুড়া আদালতের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কৌস্তভ মুখোপাধ্যায় সাতজনকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। আগামী ২৬ জুলাই হবে সাজা ঘোষণা।”

বস্তুত, রিনা মাল গত ১৩ বছর ধরেই হুগলি জেলেবন্দি। চারজন দুস্কৃতী একবার পুলিশের চোখে লঙ্কার গুড়ো দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আবার ধরা পরে। সবাই বিভিন্ন জেলে বন্দি।