Chinsurah burning ghat: মরেও যেন শান্তি নেই! গাছ পড়ে উপড়ে গেল বিদ্যুতের খুঁটি, বন্ধ শ্মশানঘাট

Chinsurah burning ghat: ত্রিবেনী বা চন্দননগরে দাহ করলে মৃতদেহ দাহ করার শংসাপত্র নিতে যেতে হবে সেখানেই। চুঁচুড়া শ্মশান ঘাটে রয়েছে পিস হ্যাভেন। যেখানে ডিপ ফ্রিজারে চারটি দেহ সংরক্ষণ করে রাখা যায়। সেই পরিষেবাও বর্তমানে বন্ধ।

Chinsurah burning ghat: মরেও যেন শান্তি নেই! গাছ পড়ে উপড়ে গেল বিদ্যুতের খুঁটি, বন্ধ শ্মশানঘাট
শ্মশানঘাটের অবস্থা বেহাল Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 26, 2025 | 4:40 PM

চুঁচুড়া: ক্ষনিকের ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়েছিল পাঁচিলে। সেই পাঁচিত ধসে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে। যার জেরে তার জরিয়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল ষন্ডেশ্বরতলা শ্যামবাবুর ঘাট। সেই শ্যামবাবুর শ্মশান ঘাটে এখন শ্মশানের শূন্যতা। কার্যত পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে চুঁচুড়ার একমাত্র শ্মশানঘাট।

জানা যাচ্ছে, বৈদ্যুতিক চুল্লিতে মৃতদেহ দাহ করতে পারছেন না হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ত্রিশটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পুরসভার পাশাপাশি কোদালিয়া-১ ও কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েত,ব্যান্ডেল,দেবানন্দপুর,সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আশেপাশের প্রায় দশটি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। দাহ সৎকারে ত্রিবেনী নয়ত চন্দননগর শ্মশান ঘাটে যেতে হচ্ছে তাদের।

বস্তুত, গত ২১ মে বুধবার রাতে কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোয় ক্ষতি হয় শ্যামবাবুর ঘাটের। গঙ্গাপাড়ের অনেক গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপরে পড়ে যায়। উড়ে যায় ঘরের চাল। ব্যহত হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। সেদিন রাত থেকেই শ্মশান ঘাট বন্ধ রয়েছে। তারপর কেটে গিয়েছে পাঁচদিন। এখনো চালু হয়নি শ্মশান।

ত্রিবেনী বা চন্দননগরে দাহ করলে মৃতদেহ দাহ করার শংসাপত্র নিতে যেতে হবে সেখানেই। চুঁচুড়া শ্মশান ঘাটে রয়েছে পিস হ্যাভেন। যেখানে ডিপ ফ্রিজারে চারটি দেহ সংরক্ষণ করে রাখা যায়। সেই পরিষেবাও বর্তমানে বন্ধ।

চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের পুর পারিষদ জয়দেব অধিকারী বলেন, “ঝড়ে প্রায় ৩৬টি গাছ ভেঙেছিল। সেগুলো কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ১৮ টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছিল।বিদ্যুৎ দফতর কাজ করছে। তবে কেন বৈদ্যুতিক চুল্লির বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়নি বলতে পারব না। মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করা হবে। শ্মশানঘাটে জেনারেটর বসানোর ব্যপারে কেএমডিএ বা সুডা সাহায্য করলে হবে। এখনই কিছু ভাবনা নেই।”

চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতেই পারে তার জন্য পরিষেবা বন্ধ থাকবে কেন। এরকম পরিস্থিতি আগে হয়নি। ওখানে গাছ পড়েছে খুঁটি ভেঙেছে।তারপরও শ্মশানঘাট চালু করা দরকার ছিল। পাঁচ দিন হয়ে গেল কোনও দাহ সৎকারের কাজ করা যাচ্ছে না। আমি ঠিক করেছি আগামী অর্থবর্ষে আমার বিধায়ক তহবিলের যে টাকা পাব তাতে অত্যাধুনিক জেনারেটর বসাবো।” তবে, শ্যামবাবুর ঘাট এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার আলো জ্বলে না। অপরিচ্ছন্ন হয়ে আছে এলাকা। সাপের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।