চুঁচুড়া: গ্রিন প্রজেক্টের নামে পুকুর বোজানোর অভিযোগ উঠেছিল হুগলি জেলার চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায়। তা নিয়েই পুরসভার সঙ্গে মামলা চলছিল ওই এলাকার এক চিকিৎসকের। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট অবৈধ নির্মাণ ভেঙে জলাশয় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরই পুরসভার তরফে জেসিবি, ট্রাক্টর নিয়ে এসে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে সেখানে চলে আসেন ওই চিকিৎসকও। মাপজোক নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।
চুঁচুড়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জুগিপাড়া এলাকায় জলাশয় ভরাটের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় চিকিৎসক নারায়ণ কৃষ্ণ বসুর বিরুদ্ধে। সেই বিষয়টি নিয়ে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মামলা শুনে কলকাতা হাইকোর্ট জলাশয় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের পরই বুধবার চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় জেসিবি, ট্রাক্টর ও লোকজন নিয়ে যুগিপাড়ায় হাজির হন। তা দেখে সেখানে হাজির হন চিকিসৎক নারায়ন কৃষ্ণ বসুও। বিএলএলআরও অফিসের কর্মীরাও মাপজোক শুরু করতেই উত্তেজনা ছড়ায়।
যদিও চিকিৎসক নারায়ণ কৃষ্ণের দাবি, “এই জমিতে অনেক দিন ধরেই জলাশয় পড়ে রয়েছে। ব্যবহৃত হয় না ওই জলাশয়। জলাশয় ভরাট হয়নি। ইকো ফ্রেন্ডলি একটি প্রকল্প করার জন্য পুকুরের চারধার ঘিরেছিলাম। পুকুর পুকুরের মতোই রয়েছে।“ ইকো ফ্রেন্ডলি প্রজেক্ট এই সমস্যার কারণে করা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। যদিও তাঁর দাবি নস্যাৎ করেছেন চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, “চিকিৎসক মিথ্যে কথা বলছেন। চিকিৎসক পুকুর বুজিয়েছেন বলেই হাইকোর্ট পুকুর খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশ পাওয়ার পর সেই কাজ করতেই আমরা এসেছি।“
আদলতের নির্দেশে পুকুর খনন শুরু হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা মিলন রায় বলেছেন, “২০১৮ সাল থেকে জলাশয় ভরাট শুরু করেন চিকিৎসক। সারে ১৩ কাঠা জলাশয়ের সবটাই প্রায় ভরাট করে চার কাঠা কংক্রিটের পাঁচিল দিয়ে চৌবাচ্চা মত করে রাখা হয়েছে। আমরা এলাকার বাসিন্দারা পরিবেশ রক্ষার জন্য জলাশয় ভরাটের বিরোধিতা করেছিলাম। তখন চিকিৎসক আমাদের কথা শোনেননি। উল্টে যারা প্রতিবাদ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিলেন। বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই আমরা।“