হুগলি: পুরসভা ভোট এসেছে। ভোট চলেও গিয়েছে। অভিযোগ, পানীয় জল পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন হয়নি। এবার লোকসভা ভোট আসছে। এবার একদিনের মধ্যে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিধায়কের। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের পাঙ্খাটুলি এলাকায় ব্যান্ডেল নৈহাটি রেল লাইনের খিলানের তলায় বসবাস করে কয়েকশো পরিবার। তাঁরা পুরসভার ভোটার। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার ভোটের আগে বর্তমান কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী সহ তৃণমূল নেতৃত্ব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকার প্রতিটা বাড়িতে পানীয় জল দেওয়া হবে। নিকাশি ব্যবস্থা এবং শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হবে। পুরসভার নির্বাচন প্রায় দু’বছর হতে চলল এখনও কাজ এগোয়নি। রাস্তার ধারে পুরসভার কল থেকে জল আনতে হয়,কাঁচা শৌচালয়ে লজ্জা নিবারণ করা দুঃসাধ্য হয়ে পরে। নিকাশি বলে কিছু নেই।
এলাকাবাসীর দাবি, একাধিকবার স্থানীয় কাউন্সিলরকে বাসিন্দারা আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। সেই কারণে ক্ষোভের আঁচ তৈরি হয়। এরপর আজ এলাকার বিধায়ক অসিত মজুমদার ঘটনাস্থলে যান। প্রতিশ্রুতি দেন রবিবার বিকেলের মধ্যে পানীয় জলের লাইন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
অসিত মজুমদার বলেন, “এরা খুবই গরিব।পুর পরিষেবা থেকে কেউ বঞ্চিত থাকবে না। জল কালকে দেওয়া হল কি না তা দেখতে আসব আবার। নিকাশি শৌচালয় যাতে হয় এই বিষয়ে নিয়ে কথা বলব।” সিআইসি জয়দেব বলেন,”রেলের জায়গায় জলের লাইন দেওয়া যাবে কি না তা দেখতে হবে। ওটা পুরসভার জায়গা নয়। কাউন্সিলের ভুল হয়েছে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা না করা।” বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি ঝুলি নিয়ে এসেছিল। এখন আর কাউন্সিলরকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ওই এলাকায় গেলে এখন ক্ষোভের মুখে পড়বে। এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিধায়ক পৌঁছে গিয়েছেন। উনি আবার লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন।