আরামবাগ: মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের আগেই আরামবাগ জেলার দাবিতে সরব শাসক বিরোধী উভয় পক্ষই। বিগত কয়েক দশক ধরেই বুদ্ধিজীবীরা আরামবাগ জেলার দাবিতে সরব হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের আগে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি মহকুমার বিভিন্ন বিডিও অফিস সহ মহকুমা শাসকের অফিসে আরামবাগ জেলার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও চাইছে আরামবাগ জেলা হোক। সোমবারই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা। তার আগে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইটে প্রচারও চলছে। লোকসভা ভোটের আগে শাসকবিরোধী উভয় পক্ষের তুরুপের তাস আরামবাগ জেলা।
আরামবাগ জেলার দাবি দীর্ঘদিনের। আরামবাগ শহর থেকে জেলা সদর চুঁচুড়া যেতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে। আবার গোঘাটের পশ্চিম প্রান্তের বা খানাকুলের দক্ষিণ প্রান্তের একটি গ্রাম থেকে এই সময়টা আরও এক ঘণ্টা বেশি। জেলা সদর চুঁচুড়া থেকে ওই অঞ্চলেরগুলির দূরত্বটা ১৩০ কিলোমিটারেরও বেশি।
২০১১ সালের রেকর্ড বলছে আরামবাগ মহকুমার লোকসংখ্যা প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১২০০ জন। আরামবাগ মহকুমা ব্লক ৬ টি ব্লক। গ্রাম পঞ্চায়েত ৬৩ টি। ১ টি পৌরসভা। আরামবাগ জেলার দাবিতে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, হুগলি জেলায় চারটি মহকুমাতে গড়ে ৩ টি করে পৌরসভা আছে। কারণ হুগলি জেলায় চারটি মহকুমায় মোট পৌরসভার সংখ্যা ১২ টি। এখানে আরামবাগ মহকুমাকে বঞ্চিত করে মাত্র একটি পৌরসভা করা হয়েছে। আরামবাগ মহকুমা শ্রীরামপুর মহকুমার ক্ষেত্রের আড়াই গুণ হওয়া সত্ত্বেও শ্রীরামপুরে ছ’টি পৌরসভা। অপরদিকে আরামবাগে মাত্র একটি পৌরসভা আছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, আরামবাগ জেলা হলে মহকুমা ও পৌরসভার সংখ্যা বৃদ্ধি পেত এবং একেইসঙ্গে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হতে পারে। জোরালো হয়েছে কামারপুকুর, দেওয়ানগঞ্জ ও খানাকুল পৌরসভার দাবি।