AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhaifota: পথকুকুররা ভাইফোঁটা পেল চন্দননগরে

Chandannagar: পশুপ্রেমী সঞ্চিতা ২০১৭ থেকে পথ কুকুরদের নিয়ে কাজ করেন। প্রতিদিন সঞ্চিতা ও পিকাসো রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পথ কুকুরদের খাবার দেন।

Bhaifota: পথকুকুররা ভাইফোঁটা পেল চন্দননগরে
কুকুরদের ভাইফোঁটা
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2022 | 7:59 PM
Share

চন্দননগর: পথে ঘুরে বেড়ানো কুকুরদের ভালবাসেন তাঁরা। রোজ এলাকার কুকুরদের খাবার খাওয়ান। ভাইফোঁটার দিন একটু অন্য রমক করে কাটালেন তাঁরা। প্রায় ৫০-৬০টি কুকুরকে মাথায় ধান, দুর্বা দিয়ে ভাইফোঁটা দিলেন। ফোঁটা দিয়ে সন্দেশও খাওয়ালেন। দুপুরে অবশ্য কুকুরদের জন্য ছিল মাংস-ভাতের ব্যবস্থা। ভাইফোঁটার দিনে এ রকমই ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলির চন্দননগর। সৌজন্যে সঞ্চিতা ও পিকাসো পাল। ওই দম্পতিই কুকুরদের জন্য বৃহস্পতিবার করেছিলেন ভাইফোঁটার ব্যবস্থা।

পশুপ্রেমী সঞ্চিতা ২০১৭ থেকে পথ কুকুরদের নিয়ে কাজ করেন। প্রতিদিন সঞ্চিতা ও পিকাসো রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পথ কুকুরদের খাবার দেন। চন্দননগরের শাওলি বটতলার বাড়ি থেকে টোটোয় করে খাবার নিয়ে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েন কত্তা-গিন্নি। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ টি পথ কুকুর কে খাবার খাওয়ান এই দম্পতি।এর সঙ্গে এলাকায় কোথাও কোন কুকুর অসুস্থ হয়েছে শুনলেই ছুটে যান সঞ্চিতা। তার চিকিৎসা থেকে খাওয়ানোর দায়িত্ব পুরোটাই নিজের কাঁধে তুলে নেন। বাড়িতেও আশ্রয় দেন অনেককে।

পথ কুকুরদের ভাইফোঁটা দেওয়া নিয়ে ওই দম্পতি বলেছেন, “এই সময় পথ কুকুরদের প্রতি অত্যাচার অনেকে বেড়ে গিয়েছে। এই পথ কুকুরদের ভাইফোঁটা দেওয়া দেখে যদি কিছু মানুষ সচেতন হন, সেটাই লাভ। এই অবলা প্রাণীদের মঙ্গলের জন্যই উদ্যোগ।”

কুকুরদের আদরযত্ন করার জন্য খ্যাতি রয়েছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রেরও। এই উদ্যোগের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “আমি সঞ্চিতা আর পিকাসোকে চিনি। ওরা অনেকদিন ধরে কাজ করছেন পথের পশুদের নিয়ে। সোনামণি বলে একটি কুকুরের পা নেই। তাদের চাকা দেওয়া গাড়ি করে দিয়েছে। সারমেয় বলে একটা বইও লিখেছে। ওদের এই ভাইফোঁটার উদ্যোগ খুবই ভাল। এই ভাবে সকলেই যদি এমন ভাবে এগিয়ে আসে তাহলে খুব ভাল হয়। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম। আমি এমন কিছু করতে পারি না। যতটুকু আমার আশেপাশে কুকুর রয়েছে, আমার মতো করে দেখা শোনা করি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এমন উদ্যোগ খুব ভাল। এই তো মালদায় গিয়েছিলাম, এখনও সেখানে পাঠা বলি হয়। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।”