Hooghly: মাত্র ১০০ টাকার জন্য যুবককে মাথা থেঁতলে খুন, সামনে এল খুনিদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক
Youth murder in Hooghly: এদিন চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা দোষীসাব্যস্ত দু'জনের সাজা ঘোষণা করেন। দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মৃত যুবকের মাকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

হুগলি: মাত্র ১০০ টাকা নিয়ে বচসা। আর তার জন্য এক যুবককে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়। খুনের দায়ে দোষীসাব্যস্ত যুগলকে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল চুঁচুড়া আদালত। যদিও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির দাবি, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। আদালতের রায়ে খুশি মৃত যুবকের পরিবার।
২০১৯ সালের ৭ জুন মহম্মদ আনোয়ার নামে ওই যুবক খুন হন। মগরা কাঁটাপুকুর এলাকায় একটি দোকানের সামনে রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সন্ধের পর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। টহলদারি পুলিশ আনোয়ারকে পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। মৃত যুবককে উদ্ধার করে মগরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। মৃত আনোয়ারের মামা রঞ্জিত সাউ পরদিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কৃষ্ণ বাউল দাস ও লক্ষ্মী রায়ের বিরুদ্ধে।
যেখানে আনোয়ারের দেহ পড়েছিল, সেখানে এক নিরাপত্তারক্ষী অভিযুক্ত যুগলকে আনোয়ারের সঙ্গে বচসা করতে দেখেছিলেন। সেই সূত্র ধরে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, লক্ষ্মী একশো টাকা পেতেন আনোয়ারের কাছে। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে বচসা বাধে লক্ষ্মীর। সেইসময় কৃষ্ণ আধলা ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করেন আনোয়ারকে। তারপর দু’জনে পালিয়ে যান। কৃষ্ণ ও লক্ষ্মীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন গৌতম মণ্ডল। বাদী পক্ষের সরকারি আইনজীবী ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। মোট ২৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদিন চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা দোষীসাব্যস্ত দু’জনের সাজা ঘোষণা করেন। দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মৃত যুবকের মাকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আদালত সাজা ঘোষণার পর কেঁদে ফেলেন মৃত যুবকের মা
হুগলি জেলা মুখ্য সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তকারী অফিসার খুব ভাল কাজ করেছেন। সাক্ষ্য প্রমাণ দাখিল করেছেন।” আদালতের রায়ের পর সাজাপ্রাপ্ত কৃষ্ণ দাবি করেন, “আমার সঙ্গে লক্ষ্মীর একটা সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু, খুন করিনি। ফাঁসানো হয়েছে।” আদালত সাজা ঘোষণার পর কেঁদে ফেলেন মৃত আনোয়ারের মা আয়েশা বিবি। আদালতের রায়ে তিনি খুশি বলে জানান।
