Hooghly: বাথরুমে যেতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু, কবর দিয়েছিল বাবুজানকে, ৮ মাস পর সেই জায়গাতেই এলাকাবাসী যা দেখল…বলাগড়ে হাড়হিম ঘটনা

Dead body missing from grave: কামালপুর কবরস্থান কমিটির সম্পাদক মীর জসিমউদ্দীন বলেন, "আমরা বিষয়টি জানতে পেরে বলাগড় থানার পুলিশকে জানাই। আজ লিখিত অভিযোগ করেছি। এর আগে কোনওদিন এরকম ঘটনা ঘটেনি। এরকম হলে যাঁরা পরিজনদের দেহ কবর দেন, তাঁরা ভয় পাবেন। পুলিশে অভিযোগ করেছি।"

Hooghly: বাথরুমে যেতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু, কবর দিয়েছিল বাবুজানকে, ৮ মাস পর সেই জায়গাতেই এলাকাবাসী যা দেখল...বলাগড়ে হাড়হিম ঘটনা
কী বলছে মৃতের বাড়ির লোকজন?Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 29, 2025 | 10:45 PM

বলাগড়: চারিদিকে গাছ। আগাছায় ভরা। আবার পাঁচিল দেওয়া। বিদ্যুতের আলোও নেই। রাতের বেলা সেখানে যাওয়ার কথা কেউ ভাবে না। গা ছমছম করে। দিনের বেলাও খুব বেশি লোক সেখানে যায় না। আর সেই কবরস্থানেই হাড়হিম ঘটনা। কবর থেকে রাতারাতি গায়েব মৃতদেহ। খোঁড়া হয়েছে খবর। কীভাবে মৃতদেহ গায়েব হল? কোথায় মৃতদেহ গেল? এই নিয়ে শোরগোল পড়ল হুগলির বলাগড়ে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কবরস্থান কমিটি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আট মাস আগে বয়সজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয় বলাগড়ের সিজা কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সত্তর বছরের বৃদ্ধ বাবুজান আলি ওরফে কালোর। কামালপুর গ্রামের কবরস্থানে তাঁর মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়। রবিবার সেখানে ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন এক গ্রামবাসী। তিনি দেখেন, বাবুজানের কবর খোঁড়া হয়েছে। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখেন, কবরের মধ্য থেকে মৃতদেহ গায়েব। ভয় পেয়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের সকলকে বিষয়টি জানান। করবস্থানের কমিটির সন্দেহ, বাবুজানের মৃতদেহ চুরি করা হয়েছে।

কামালপুর কবরস্থান কমিটির সম্পাদক মীর জসিমউদ্দীন বলেন, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরে বলাগড় থানার পুলিশকে জানাই। আজ লিখিত অভিযোগ করেছি। এর আগে কোনওদিন এরকম ঘটনা ঘটেনি। এরকম হলে যাঁরা পরিজনদের দেহ কবর দেন, তাঁরা ভয় পাবেন। পুলিশে অভিযোগ করেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, কী উদ্দেশ্যে কারা মৃতদেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।”

মৃত বাবুজানের খুড়তুতো ভাই শেখ আজিজুল রহমান বলেন, “দাদা বয়সজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। একদিন বাথরুম যেতে গিয়ে পড়ে যান। তারপর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ধর্মীয় রীতি মেনে তাঁকে আমরা কবরস্থ করি। কিন্তু এখন জানতে পারছি, কবর খুঁড়ে মৃতদেহ কেউ তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। সিসি ক্যামেরারও ব্যবস্থা নেই। তাই জানা যাচ্ছে না, কে বা কার এটা করল।”