হুগলি: চাই মুখরোচক খাবার। পছন্দ নয় সাধারণ ভাত-ডাল-রুটি। দিতে হবে বিরিয়ানি, চাইনিজ খাবার। কিন্তু, পুলিশ তাঁদের দাবিতে কর্ণপাত না করায় ফের মুখ বন্ধ করে ফেলেছেন কোন্নগরে শিশু খুনে মূল অভিযুক্ত শান্তা শর্মা ও তাঁর বান্ধবী ইফফাত পারভিন। ফাঁপরে তদন্তকারী অফিসাররা। প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কোন্নগরে নিজের ঘরে নৃশংসভাবে খুন হয়ে যায় ৮ বছরের শিশু শ্রেয়াংশু শর্মা। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় শিশুটিকে। তদন্তে নেমে শ্রেয়াংশুর মা শান্তা শর্মা ও তাঁর বান্ধবী ইফতাত পারভিনকে গ্রেফতার করে পুলশ। উঠে আসে সমকামী প্রেমের তত্ত্বও। জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই শান্তা শর্মার সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা। আর্থিক অনটনের কথাও শোনা যায়।
পরিবার সূত্রে খবর, ২০১২ সালে বিয়ে হলেও বিয়ের পদর থেকে স্বামী পঙ্কজকে পছন্দ ছিল না শান্তার। উল্টে ইফফাতের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়তে থাকে। এদিকে ২০১৮ সালে ইফফাতের বিয়ে হলেও তাও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। শ্বশুরবাড়ি থেকে চলেও আসে। শান্তা-ইফফাত একসঙ্গে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরতে গিয়েছিলেন বলেও খবর। একসঙ্গে একাধিকবার রাত্রিবাসও করেন। ছেলেকে বাড়িতে রেখেই বাড়ি ছাড়েন শান্তা। পরিবারে আর্থিক অনটনের কথা শোনবা গেলেও সূত্রের খবর, কোন্নগরের কানাইপুরে গঙ্গানগরে জমি কিনেছিলেন শান্তা শর্মা। কেনার সময় মধ্যস্থতাও করেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনিই জানাচ্ছেন, ৭ বছর আগে তাঁর মাধ্যমেই ৪ লক্ষ টাকার বিনিময় ২ কাঠা জমি কেনেন শান্তা শর্মা। তাঁর নামে মিউটেশনও করা হয় সেই জমি। সেই জমিত বাড়িও করার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবের রূপ পায়নি।
সূত্রের খবর, শান্তার বাবা রেলে চাকরি করতেন। তাঁরা তিন বোন। বাবা তিন বোনকে কিছু টাকা ভাগ করে দিয়েছিলেন বলে খবর। সেই টাকা দিয়েই কানাইপুরে ওই জমি শান্তা কিনেছিলেন বলে খবর। প্রসঙ্গত, ২০ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন শান্তা-ইফফাত। রয়েছেন ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতে। আর দু’দিনের মাথায় ফের তাঁদের আদালতে তোলার কথা।