চুঁচুড়া: জেলা হাসপাতাল সেটি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগী আসা লেগেই রয়েছে সেখানে। কিন্তু যেখানে রোগের চিকিৎসা করাতে সাধারণ মানুষ আসছেন, সেই জায়গার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রয়েছে ঘেরা জায়গা। জরুরি বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীর পরিজনরা এখানেই দাঁড়ান, বসেন। কিন্তু সেই জায়গাতেই রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। হাসপাতালের বর্জ্য, ভাঙা আসবাবপত্র, ফাঁকা অক্সিজেন সিলিন্ডার, এমনকি উচ্ছিষ্টও রয়েছে পড়ে। আর সেখানে দিনরাত ভনভন করছে মাছি। সেখানে গেলে মনে হবে যেন ডাস্টবিনের পাশে এসে পড়লাম। এই চিত্রই ফুটে উঠেছে হুগলি জেলার চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালের এই অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ সেখানে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর আত্মীয়েরা। টিভি৯ বাংলার ক্যামেরার সামনে সেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিচ্ছন্ন রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। এবং গাছ লাগানোর পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন।
হুগলি জেলা হাসপাতালের ভিতর জরুরি বিভাগের সামনে হাসপাতালের বর্জ্য, আবর্জনার স্তূপ। উচ্ছিষ্ট থেকে ভাঙা আসবাবপত্র অগ্নিনির্বাপকের ফাঁকা সিলিন্ডার ডাঁই করা রয়েছে সেখানে। দেখলে মনে হবে ডাস্টবিন। মশা মাছির উৎপাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত রোগীর পরিজনদের। চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রয়েছে একটি ঘেরা জায়গা। লম্বাটে এই জায়গায় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পরিজনরা অপেক্ষা করেন। যাদের রোগী ভর্তি থাকে তাঁরা রাতে থাকেন এই জায়গায়। যেখানে মানুষ থাকে সেখানে কেন এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে অনেক সময় তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। তখন বসার জায়গা বলতে এই জরুরি বিভাগের সামনের জায়গাটা। এই জায়গা নিয়ে রোগীদের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, “দুর্গন্ধে এই জায়গায় বসে থাকা যায় না। তবুও বাধ্য হয়ে বসতে হয়। এত সুন্দর একটা জায়গা পরিষ্কার করে একটা পার্ক মত করে দিলে দেখতেও ভাল লাগে। অস্বাস্থ্যকরও থাকে না।”
এ বিষয়ে ইমামবাড়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার পার্থ ত্রিপাঠি বলেছেন, “হাসপাতালের কিছু আসবাবপত্র পরিবর্তন করা হয়েছে। সেগুলো সরানোর জন্য টেন্ডার করা হয়েছিল। ওই সংস্থা কাজ শুরু করেছিল। কিছু জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। বাকি যে গুলো রয়েছে তা সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে গাছ লাগিয়ে জায়গাটি সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।”