
হুগলি: নওশাদের ৪২ দিনে জেলযাপনের স্মৃতি এখনও টাটকা। সদ্য মুক্তি পেয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। তাঁর গ্রেফতারিতে বারবার আঙুল উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আব্বাস সিদ্দিকীর মতো পীরজাদারাও শাসক দলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। এবার সেই নওশাদকেই ‘ভাই’ সম্বোধন করলেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র তথা ফুরফুরার উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। বুধবার ফুরফুরা শরিফে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘নওশাদ সম্মানীয় ব্যক্তি, নওশাদ আমার ভাই। আমরা আবু বক্কর সিদ্দিকীর মরিদ (ভক্ত), তাঁর জন্যই লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে আসেন। তাঁর যাঁরা বংশধর সবাই আমাদের কাছে আদরের।’ ফুরফুরার উন্নয়নের জন্য নওশাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।
একই সঙ্গে ফিরহাদ উল্লেখ করেন, ‘ত্বহা হুজুরের’ সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। নওশাদের গ্রেফতারির সময়, পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী বলেছিলেন, শাসক দলের কোনও নেতা-মন্ত্রী ফুরফুরায় দেখা করতে গেলে তাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আর বুধবার সেই ফুরফুরায় দেখা করতে গেলেন ফিরহাদ হাকিম ও বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। আব্বাসের সেই মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, ‘যেটা হয়ে গিয়েছে, সেটা হয়ে গিয়েছে। এটা তো পুলিশ করেছে, আমরা করিনি। বাকিটা ওঁর ব্যাপার। আমরা সবাই দাদা হুজুরের মুরিদ। ওঁদের উচিত যাঁরা দাদা হুজুরের মাজারে যাঁরা যাবেন, তাঁদের আলিঙ্গন করা। আমি তো সবাইকে সম্মান করি।’
ফুরফুরায় কারও কোনও ক্ষোভ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারও ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু যখন উন্নয়ন হবে, তখন কারও ক্ষোভ থাকে না। আর যাঁরা নিন্দা করার তাঁরা করবে, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করব। যেটা ববি হাকিম শুরু করেছেন, তাঁর বাকি কাজ আমি শেষ করব।’