Singur: নার্সের মৃত্যুর তদন্তে সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে FSL টিম, কোন রহস্য এবার সামনে আসবে?

Singur: হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ঘটনার পর থেকে চারতলা সিল করে রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি সর্বক্ষণের জন্যে নার্সিংহোমে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশের আবেদন মতো আজ রাজ্যের FSL দফতরের চারজন আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেন।

Singur: নার্সের মৃত্যুর তদন্তে সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে FSL টিম, কোন রহস্য এবার সামনে আসবে?
নার্সিংহোমে FSL টিমImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Aug 16, 2025 | 7:46 PM

সিঙ্গুর: সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে মৃত নার্সের ময়নাতদন্ত যখন কল্যাণীর এইমসে হচ্ছে, তখন নার্সিংহোমে তদন্তে এল রাজ্যের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি(FSL)। হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ৪ জন আধিকারিক শনিবার নার্সিংহোমে আসেন। নার্সিংহোমের চারতলায় যেখানে নার্সের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই জায়গা থেকে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা।

হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ঘটনার পর থেকে চারতলা সিল করে রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি সর্বক্ষণের জন্যে নার্সিংহোমে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশের আবেদন মতো আজ রাজ্যের FSL দফতরের চারজন আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেন। চারজনের মধ্যে দু’জন ফিজিক্স এবং দুই জন বায়োলজিক্যাল তথ্য প্রমাণ সংগ্ৰহ করেছেন। যে জায়গা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল নার্সকে, সেই জায়গার ভর পরীক্ষা করেছেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে একাধিক প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্ৰহ করেছেন।

উল্লেখ্য, সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের নার্সের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করেছিল পুলিশ। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ খুনের মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করে। ঘটনার প্রাথমিক কিছু তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একজন নার্সিংহোমের মালিক সুবীর ঘোড়া, অন্যজন মৃত তরুণীর বন্ধু। তাঁদের আদালতে পেশ করার পর পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি ফরেন্সিক সহায়তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। সেই মতো ৪ জন আধিকারিক এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে, এদিনই মৃত নার্সের ময়নাতদন্তের জন্য দেহ কল্যাণী এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত নার্সের পরিবার চেয়েছিল, এইমস বা কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হোক। সেই দাবি মেনেই এদিন সকালে কলকাতা থেকে গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় নার্সের দেহ। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছে পরিবার।