হুগলি: শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে এই প্রথমবার গঙ্গা আরতি হল চন্দননগর রানিঘাটে। তাও একেবারে গঙ্গাবক্ষ থেকেই। গঙ্গার ঘাট থেকে গঙ্গা আরতি হয়। তবে রানিঘাটে অন্য ছবি। বারাণসীতে যেমন গঙ্গার ঘাটে আরতি হয়। এদিন রানিঘাটেও সেই ছবি দেখা গেল। শ্রাবণে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা হয়। লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয় এখানে। প্রথা মেনে বৈদ্যবাটি নিমাইতীর্থ গঙ্গার ঘাট থেকে জল নিয়ে বাঁক কাঁধে ভক্তরা তারকেশ্বরের পথে ছোটেন। কাঁধে বাঁক, মুখে ‘ভোলে বাবা পার করেগা’।
চন্দননগর রানিঘাটে এই গঙ্গা আরতির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বেচারাম মান্নারা। কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “আমাদের রাজ্যের ১৩টি বিভাগের সচিবদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এবার আমরা গঙ্গা আরতি করলাম। অনলাইনে দেশবাসী দেখল। তারকেশ্বরে আমাদের একটি সংগ্রহশালাও করা হয়েছে। একটা নতুনত্ব হল।”
বহু দিন ধরে এই শ্রাবণী মেলা হচ্ছে। তবে গঙ্গা আরতি হয়নি কখনও। আবারই প্রথম। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্র করে গঙ্গা আরতির আয়োজন করে হুগলি জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা সংগ্রহশালার উদ্বোধন হয়। হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানান, শনিবার চন্দননগর রানিঘাটে গঙ্গা আরতি হয়েছে। রবিবার সেই লঞ্চ চলে যাবে শ্রীরামপুর রায়ঘাটে সেখানেও আরতি হবে।