Group-D : গ্রুপ ডি’র বিতর্কিত নিয়োগ তালিকায় নাম, স্কুলে দেখা গেল না গোঘাটের পাপিয়া দেবীকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 02, 2023 | 11:59 PM

Group-D : গোঘাটের কাঁটালি উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পাপিয়া পাল ঘোষের বাড়ি গোঘাটের তেলিগ্রামে। তবে সেখানে গেলেও বাড়িতে দেখা মেলেনি তাঁর।

Group-D : গ্রুপ ডির বিতর্কিত নিয়োগ তালিকায় নাম, স্কুলে দেখা গেল না গোঘাটের পাপিয়া দেবীকে
পাপিয়া পাল ঘোষ

Follow Us

গোঘাট: গোঘাটের (Goghat) কাঁটালি উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন পাপিয়া পাল ঘোষ। ২০১৮ সালে কাজে যোগ দেন। নিয়মিত আসতেনও স্কুলে। কিন্তু, নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠতেই কাটল ছন্দ। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে বের হওয়া গ্রুপ-ডি’র (Group D) বিতর্কিত নিয়োগ তালিকায় ৪৭৯ নম্বরে নাম উঠেছে পাপিয়া দেবীর। জেলা স্কুল ইন্সপেক্টরের নির্দেশ মতো পাপিয়া পাল ঘোষকে এ বিষয়ে অবগত করেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তারপর থেকে আর তাঁকে দেখা যাচ্ছে না স্কুলে। 

প্রসঙ্গত, সিবিআই তদন্তের হাত ধরে এসএসএসি নিয়োগ মামলায় ৯৫২ জন শিক্ষক নিয়োগে গরমিলের অভিযোগ সামনে এসেছিল। আদালতের নির্দেশে যার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছিল কমিশনের তরফে। শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শিক্ষা মহলের অন্দরে। সম্প্রতি গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ ওঠে। প্রকাশে আসে ১৬৯৮ জনের নামের তালিকা। তাঁদের সকলের ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। তাঁদের সকলের নাম, ঠিকানা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয় শিক্ষা মহলের অন্দরে। 

গোঘাটের কাঁটালি উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পাপিয়া পাল ঘোষের বাড়ি গোঘাটের তেলিগ্রামে। তবে সেখানে গেলেও বাড়িতে দেখা মেলেনি তাঁর। কোথায় গিয়েছেন সেই বিষয়েও কিছু বলতে পারেনি পাপিয়ার মেয়ে। এদিকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের অভিভাবক থেকে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি ক্যামেরার সামনে এ বিষয়ে মুখ না খুললেও তাঁরা জানিয়েছেন, পাপিয়া পাল ঘোষ বিদ্যালয়ের গ্রুপ ডি স্টাফ হলেও তিনি বিদ্যালয়ের কোনও কাজকর্ম করতেন না। উল্টে পড়ুয়াদের দিয়ে ক্লাসরুম পরিষ্কার করার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। বাড়িতে গেলে পাপিয়ার মেয়ে নিশা ঘোষ বলেন, “আজ একটা কাজ ছিল বলে স্কুলে যায়নি। কাল থেকে আবার যাবে। আজ সকাল থেকেই বাড়িতে নেই। কোথাও একটা গিয়েছেন। কোথায় গিয়েছেন আমাকে বলে জাননি।” 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমলেশ কুমার নায়েক বলেন, “গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ তারিখ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ ছিল। আজ খোলা হয়েছে। আজ স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে তাঁকে স্কুলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ তিনি বিদ্যালয়ে আসেননি। ২৯ ডিসেম্বর হুগলির ডিআইয়ের কাছ আমরা একটা মেল পেয়েছি অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে। আমরা সেটি ওইদিন পাপিয়াকে ফরওয়ার্ড করে দিয়েছি। চিঠি আকারেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিআই-কেও এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছি।”

Next Article