Helpless Old Man: ফাঁকা পকেট কেড়েছে মাথার ছাদ, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ঘুরে জুটছে মার! পুলিশের উদ্যোগেই ঘর পেলেন চুঁচুড়ার অসহায় বৃদ্ধ

Helpless Old Man: কিছুদিন আগে রাতের বেলায় এক যুবক এসে বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তারপর থেকেই পাশে একটি কালি মন্দিরে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা হয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল সুকুমার উপাধ্যায়ের।

Helpless Old Man: ফাঁকা পকেট কেড়েছে মাথার ছাদ, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ঘুরে জুটছে মার! পুলিশের উদ্যোগেই ঘর পেলেন চুঁচুড়ার অসহায় বৃদ্ধ
পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শহরের বাসিন্দারা Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 28, 2025 | 7:31 PM

চুঁচুড়া: থেকেও নেই পরিবার। বাড়ি ছেড়েছেন অনেক দিন হল। পথেই পথেই দিন কাটছিল চুঁচুড়ার বৃদ্ধ বিমল বিশ্বাসের। এর ওর দুয়ারে ঘুরে কখনও জুটেছে আশ্রয়, কখনও জুটেছে মার। সেই নিরাশ্রয় বৃদ্ধের পাশে দাঁড়াল পুলিশ। পুলিশের উদ্যোগেই শেষ পর্যন্ত ‘নবজীবনে’ নতুন জীবন পেলেন গৃহহীন বৃদ্ধ। মাথাক উপর ছাদ পেয়ে পুলিশ কর্মী সুকুমার উপাধ্যায়কে জড়িয়ে ধরে কেঁদেও ফেললেন বৃদ্ধ। চোখের জল মুছিয়ে দিলেন সুকুমারবাবু।

বেশ কিছুদিন ধরে চুঁচুড়ার চকবাজারে একটি ফার্নিচারের দোকানের সামনে আশ্রয় নিয়েছিলেন ষাটোর্ধ বিমল বিশ্বাস। একসময় গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাতেন। থাকতেন ব্যান্ডেলের কেওটা হেমন্ত বসু কলোনির একটি ভাড়া বাড়িতে। কিন্তু, বয়সের কারণে এখন আর কাজ করতে পারেন না। বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় মাথার উপর থেকে গিয়েছে ছাদ। পথে পথে ঘুরে কোনওমতে খাবার জোগাড় হলেও মেলেনি থাকার কোনও ঠিকানে। চকবাজারে একটি ফার্নিচারের দোকানে আশ্রয় চাইসেনও দোকানের ভিতরে থাকতে দিতে চাননি ব্যবসায়ী। তখন শীতকাল। ঠান্ডার কথা ভেবে দোকানের সামনে একটা ছোট জায়গায় থাকতে দেন। কিন্তু শান্তি ছিল না সেখানেও। 

কিছুদিন আগে রাতের বেলায় এক যুবক এসে বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তারপর থেকেই পাশে একটি কালি মন্দিরে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা হয় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল সুকুমার উপাধ্যায়ের।  শহরের গৃহহীন মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য চুঁচুড়া পুরসভার উদ্যোগে কয়েকদিন আগেই চালু হয় ‘নবজীবন’। সেখানে যাতে ওই বৃদ্ধকে রাখা যায় তার জন্য পুরসভার সঙ্গে কথাও বলেন সুকুমার বাবু। গ্রিন সিগন্যাল মিলতেই সোজা ওখানে নিয়ে চলে যান। পুলিশের এই মানবিক উদ্যোগ দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ শহরের বাসিন্দারা। অন্যদিকে সুকুমারবাবু বলছেন, “নিজের যেটুকু ক্ষমতা সেটুকু দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়ালে কিছু মানুষের উপকার হয়। সবারই যদি কিছু কিছু চেষ্টা থাকে সেটা অনেক মানুষের কাজে লাগে।”