
হুগলি: বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি ছেড়েছিলেন যুবতী। চুঁচুড়ার শিক্ষিকার চেষ্টায় হ্যাম রেডিয়োর সাহায্যে তিন মাস পর বাড়ি ফিরলেন। জানা গিয়েছে, গত ২১শে ফেব্রুয়ারি বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে বাড়ি ছেড়েছিলেন বছর ছাব্বিশের যুবতী মিতা চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি ক্যালকাটা ডায়মন্ড পার্ক খালপাড় হরিদেবপুর থানা এলাকায়।
ধনিয়াখালি থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ২২ তারিখ চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলতে থাকে। গত ৮ মার্চ যুবতীকে আইসোলেশান ওয়ার্ডে শিফট করে দেওয়া হয়।সেখানে কর্তব্যরত একজন নার্স হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলের শিক্ষিকা শুভ্রা ভট্টাচার্যকে যুবতীর বিষয়ে জানান।
শিক্ষিকা একটি সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। যে সংগঠন নানা ধরনের সমাজসেবা মূলক কাজ করে থাকে। শুভ্রা ভট্টাচার্য বলেন, কিছুদিন পর যুবতীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি তার মানসিক সমস্যা আছে। নানা ভাবে চেষ্টা করে তাঁর বাড়ির বিষয়ে কিছুই জানতে পারিনি। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে ওষুধ নিয়ে নিয়ম করে খাওয়ানো হয় এক মাস ধরে। ওষুধ খেয়ে যুবতী সুস্থ হতে শুরু করে।কয়েকদিন আগে সে নাম ঠিকানা সব বলে। বাড়ি যেতে চায় না সেটাও বলে। হোমে রাখার কথা বললে সেখানেও যেতে চায়না।
এরপর হ্যাম রেডিওর অম্বরিশ নাগের সঙ্গে যোগাযোগ করি। উনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুবতীর দাদার ফোন নম্বর দেন।গত কাল রাত ৯ টায় বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা হয়। দাদা তাপস চক্রবর্তী একমাত্র বোনের জন্য উদগ্রীব ছিলেন।কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে, অনেক থানা পুলিশ করেও কিছুতেই সন্ধান পাননি। আজ তিন মাস পর বোনকে ফিরিয়ে নিতে চুঁচুড়ায় আসেন যুবতীর দাদা।বোনও দাদাকে দেখে জরিয়ে ধরে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলে।হাসপাতালে এতদিন যারা তাকে দেখাশোনা করেছে তাদেরও চোখ ছলছল করে ওঠে।