
হুগলি: ভুল করে পাকিস্তানে ঢুকে পাক সেনার হাতে বন্দি বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। চার দিন পেরিয়ে গেলেও তার মুক্তি কবে তা জানা যায়নি। তাই রিষড়ার জওয়ানের পরিবার উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। ভারত সরকার বিএসএফ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁকে ফেরানোর। তবে পাকিস্তানের দিক থেকে এখনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ণমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা পাঠানকোট যাওয়ার স্থির করেছেন। তাঁরা বিমানে করে পৌঁছবেন পঞ্জাব।
রবিবার সকালে বিএসএফ এর আট সদস্যের একটি দল জওয়ানের রিষড়ার বাড়িতে আসে। তারা পূর্ণমের পরিবারের কথা বলেন। মিনিট পনেরো কথা বলার পর তাঁরা বেরিয়ে যান।পূর্ণমের মুক্তির জন্য পুজো দিয়ে পুজোর ডালা নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা।
পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউ বলেন, “দুপুর একটার বিমানে আমরা চন্ডিগড় যাব। সেখান থেকে পাঠানকোট যাব। আজ বিএসএফ-এর আধিকারিকরা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তারা আসার পর আমরা কিছুটা ভরসা পেয়েছি। এখন মনে হচ্ছে ভালো কিছু খবর আসবে। তারা বলেছেন জওয়ানকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য সব রকমের চেষ্টা চলছে।”
পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ সাউ বলেন, “আজ বিএসএফের অধিকারীরা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। ছেলে সম্পর্কে কথা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে। তাঁরা শুধু এটাই বলেছেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। আজ তারা আশাতে আমরা কিছুটা ভরসা পাচ্ছি।” তাঁর কথায়, “বিএসএফ বলছে, ‘হিম্মত রাখো লড়কা জলদি আ জায়েগা।”
পূর্ণমের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমকে কিছুই বলতে চাননি বিএসএফের আধিকারিকরা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার পর ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। আর এই আবহে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের হাতে বন্দি বিএসএফ জওয়ানকে ছাড়াতে সময় লাগছে।