
হুগলি: গত ছ’বছর ধরে একসঙ্গে থাকতেন তাঁরা। হঠাৎই রাত তিনটের সময়ে ‘বাবাগো…. মা গো….’ চেঁচানি শুনতে পান পড়শিরা। তা শুনেই বিপদ আঁচ করতে পারেন। দৌড়ে যান পাশের বাড়িতে। গিয়ে দেখেন উঠোনেই একজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন, ঘরের ভিতরে পড়ে রয়েছেন আরও একজন। হুগলির বৈদ্যবাটিতে রহস্যজনক মৃত্যু যুগলের! পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মণীশ ভাদুড়ি(৩৫) ও অপর্ণা মাঝি(৩২)। রাত তিনটে নাগাদ তাঁদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।
বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারাম বাগান এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মণীশ ও অপর্ণা। মণীশ একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন, অপর্ণা পরিচারিকার কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। বৈদ্যবাটি রাজার বাগানে মণীশের বাড়ি রয়েছে। গত ছয় বছর ধরে সীতারামবাগানে ভাড়া ছিলেন দু’জনে।
প্রতিবেশী শুভেন্দু মাঝি বলেন, “রাত তিনটে নাগাদ প্রথমে চিৎকার, পরে গোঙানি শুনতে পান তাঁরা। তারপর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে একজন এবং ঘরের বাইরে পড়ে রয়েছে একজন। ওই অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা ছটফট করেন। রাজার বাগানে মণীশের বাড়ির লোককে খবর দেন প্রতিবেশী। তাঁরাই পুলিশ ডাকে।” পুলিশ গিয়ে দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। দেহ দুটি শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, দু’এজনে সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন। রাতে বাড়ি ফিরতেন। মণীশ নেশা করতেন, তা নিয়ে দুজনের মধ্যে মাঝে মধ্যে অশান্তি হত বলে জানান প্রতিবেশীরা। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, নিজেরাই অশান্তির মাঝে মারামারি করেছেন, ধারাল অস্ত্র নিয়ে আঘাত করেছেন, তাতেই এই ঘটনা। ঘটনার এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস,আইসি শ্রীরামপুর সুখময় চক্রবর্তী। এই ঘটনায় বাইরের কেউ জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।