AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: ৬ বয়সে দেয় গোপন জবানবন্দি, ১৩ বছর বয়সে এসে সাক্ষ্য! বাবাকে যাবজ্জীবন গারদে পাঠিয়ে মায়ের খুনের বদলা নিল ছোট্ট ছেলে!

Hooghly: সাবিনার বাবা মতিয়ার রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নজিবুলকে গ্রেফতার করে ধনিয়াখালি থানার পুলিশ। তদন্তের পর ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর চার্জশিট পেশ করে তদন্তকারী আধিকারিক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৪৯৮/এ, ৩০২, ২০১ ধারায় মামলা হয়।

Hooghly: ৬ বয়সে দেয় গোপন জবানবন্দি, ১৩ বছর বয়সে এসে সাক্ষ্য! বাবাকে যাবজ্জীবন গারদে পাঠিয়ে মায়ের খুনের বদলা নিল ছোট্ট ছেলে!
ছেলের বয়ানে বাবার যাবজ্জীবনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2024 | 5:02 PM

হুগলি: নাবালক ছেলের সাক্ষীতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বাবা। বৃহস্পতিবার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল আদালত। ধনিয়াখালি থানার জামাইবাটি কাপগাছি গ্রামের বাসিন্দা শেখ নজিবুলের সঙ্গে ২০০৬ সালে বিয়ে হয় ধনিয়াখালির চক-সুলতান গ্রামের সাবিনা বেগমের। বিয়ের কয়েক বছর পরে স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন নজিবুল। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল। ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট অশান্তি চরমে ওঠে। ওই রাতে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে খুন করে নজিবুল।সন্তানদের সামনেই এই ঘটনা ঘটে।

সাবিনার বাবা মতিয়ার রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নজিবুলকে গ্রেফতার করে ধনিয়াখালি থানার পুলিশ। তদন্তের পর ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর চার্জশিট পেশ করে তদন্তকারী আধিকারিক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৪৯৮/এ, ৩০২, ২০১ ধারায় মামলা হয়। ১২ এপ্রিল ২০২২ সালে বিচারকের কাছে বাবার বিরুদ্ধে গোপন জবানবন্দি দেয় ছেলে। মোট ১২ জনের সাক্ষ গ্রহণ করা হয়।

চুঁচুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে চুঁচুড়া আদালত। মৃত সাবিনা বেগমের ১৩ বছরের ছেলে সাহিলের সাক্ষী এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তার যখন ছয় বছর বয়স, তখন সে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিল বিচারকের সামনে। আর তেরো বছর বয়সে সাক্ষ্য দেয়। বুধবার হুগলি জেলা আদালতের তৃতীয় অ্যাডিশনাল সেশন জাজ কৌস্তব মুখোপাধ্যায় শেখ নজিবুলকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আইনজীবী  শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ৪৯৮/এ ধারা মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩০২,২০১ ধারা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় অভিযুক্তকে।