হুগলি: দুর্ঘটনার পর একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণেই মৃত্যু বলে দাবি পরিবারের। মৃতের পরিবারে এমনই একটি বিবৃতি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করল তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিয়োতে বলা হচ্ছে, দুর্ঘটনার পর প্রথমে পুলিশ সদানন্দ পালকে উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে সেখান থেকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চুঁচড়া থেকে কল্যাণীতে স্থানান্তরিত করা হলেও পরিবারের দাবি কল্যাণীর হাসপাতালে গিয়েও ভর্তি করাতে পারেননি। এরপর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান তাঁরা। পরিবারের দাবি, সেখানে চিকিৎসক না থাকার কারণে ভর্তি করাতে পারেননি। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
One tragedy after another – the human cost of doctors abstaining from their duty is mounting.
This time, a man from Haripal, Hooghly, lost his life after being denied the treatment he desperately needed.
We have always acknowledged the concerns behind the protests, but how many… pic.twitter.com/QoDgIJO2rV
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 10, 2024
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অগস্ট হরিপাল থানার নালিকুল সিনেমাতলা এলাকায় সদানন্দ পাল (৬৩) নামে এক ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা মারে এক বাইক আরোহী। মাথায় চোট পান সদানন্দ পাল। গত ২৯ অগস্ট বারাসতের বেঙ্গল নিউরো হাসপাতালে মৃত্যু হয় সদানন্দ পালের।
মৃত সদানন্দ পালের পুত্র সৌমেন পাল বলেন, “গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয় বাবা। সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও নিউরো সার্জারি না হওয়ার কারণে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এর পর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও সেদিন নিউরো সার্জারি না হওয়ার কারণে ভর্তি করা যায়নি। ততক্ষণে বাবার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। অ্যাম্বুলেন্স চালকের কথায় বারাসত বেঙ্গল নিউরো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওখানে অপারেশন করার পর ১১ দিন ধরে আইসিইউ-তে ভর্তি রাখা হয়। প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায় এবং গত ২৯ শে আগস্ট বাবার মৃত্যু হয়।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)