Hooghly: ৫ মাসের মেয়ের গলায় ব্লেড চালিয়েছিলেন, ১১ বছর পর সেই বাবার হল যাবজ্জীবন
Hooghly: সেদিন শিশুকন্যাকে খুনের পর শ্মশানের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন কামাল। তাঁকে অনেকেই দেখতে পেয়েছিলেন। তাঁরা কামালের স্ত্রীকে খবর দেন। পরবর্তী সময় পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে মা রেজিনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে কামালকে গ্রেফতার করে।

হুগলি: পাঁচ মাসের কন্যা সন্তানকে খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল চন্দননগর মহকুমা আদালত। ঘটনাটি ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বরের। হরিপালের সহদেব পঞ্চায়েতে গসা গ্রামে বাসিন্দা শেখ কামাল হোসেন মেয়ের গলায় ব্লেড চালিয়ে খুন করে। পিতৃত্ব নিয়ে সংশয় ছিল কামাল হোসেনের।
সেদিন শিশুকন্যাকে খুনের পর শ্মশানের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন কামাল। তাঁকে অনেকেই দেখতে পেয়েছিলেন। তাঁরা কামালের স্ত্রীকে খবর দেন। পরবর্তী সময় পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে মা রেজিনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে কামালকে গ্রেফতার করে।
সেই সময় মা রেজিনার অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামী ভোর চারটে নাগাদ তাঁর কাছ থেকে মেয়েকে কেড়ে নিয়ে পালাতে চেষ্টা করেন । শ্বশুর-শাশুড়ি বাধা দিলেও সেখান থেকে বেরিয়ে যান কামাল। হরিপালেরই কৌশিক নদীর বাঁধের ওপর শিশুটির গলা কাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়। চন্দননগর মহকুমা আদালতে প্রায় ১১ বছর খুনের মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার চন্দননগর ফাস্ট ট্রাক ট্রাক কোর্টের বিচারক জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্য যাবজ্জীবনে সাজা ঘোষণা করেন।
সরকারি আইনজীবী জানান, মোট ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের ট্রায়াল হয়। সকলেই দাবি করেছেন, তাঁরাই কামালের কোলে শিশুকন্যাকে দেখেছিলেন। তার ভিত্তিতেই বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেন। কামাল দাবি করেছিলেন, তিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন, কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয় মেডিক্যাল পরীক্ষায়।





