হুগলি: এলাকাতেই হোটেল চালান গনেশ দে নামে এক ব্যক্তি। গত বুধবার সকালে তাঁর হোটেলে হাজির হন এক পরিচিত যুবক। গণেশ যে ওই হোটেলের মালিক, সেটা না বুঝেই ওই যুবক প্রশ্ন করেন, “তুই এখানে কাজ করিস?” আসল পরিচয় আড়ালে রেখেই গণেশ উত্তর দেন, “হ্যাঁ কাজ করি।” কিন্তু সেই যুবকই যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন, তা আঁচও করতে পারেননি গণেশ। হুগলির ঘটনা। ব্যান্ডেল চার্চের সামনেই রয়েছে হোটেলটি।
পরিচিত ওই যুবক হোটেল থেকে বেরনোর সময় একটি ব্যাগ আর ছাতা রেখে যান সেখানে। গণেশকে বলে যান, ‘পরে এসে নিয়ে যাব।’ এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। এরপর বিকেল পাঁচটা নাগাদ হোটেল কর্মীরা যখন কেউ ছিলেন না, তখন গণেশ একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই ফাঁকেই ঘটে যায় ঘটনাটা।
ঘুম থেকে গণেশ দেখেন, তাঁর মোবাইলটি নেই। কোথাও খুঁজে না পেয়ে সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করেন তিনি। ফুটেজ দেখেই চমকে যান গণেশ। যিনি ছাতা রেখে গিয়েছিলেন, তিনিই মোবাইল নিয়ে চম্পট দিয়েছেন! ফুটেজে দেখা যায়, সেই যুবক গণেশের মোবাইল চার্জার থেকে খুলে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। শুধু মোবাইল নয়, হাজার দুয়েক টাকা ছিল, সেটাও ওই যুবক নিয়ে যান বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাতা ফেরত নিতে হাজির হন ওই যুবক। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন হোটেলের কর্মীরা। উদ্ধার হয় মোবাইল ও টাকা। বৃষ্টির সময় ছাতা রেখে যাওয়া যে আসলে চুরির ফন্দি, তা বুঝতেও পারেননি হোটেলের মালিক। সিসিটিভি ছিল বলেই পুরো বিষয়টা সামনে আসে।