Hooghly Incident of drowning: বছর ১৩-র মেয়েটার মধ্যে ওতটাই সাহস ছিল, বোনের জন্য মরতেও বুক কাঁপল না তার!

Hooghly Incident of drowning: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বোনকে জলে হাবুডুবু খেতে দেখে সাত পাঁচ না ভেবেই জলে ঝাঁপ দেয় তেরো বছরের মেয়েটা। সেই সময় ক্যানেলের জলে ডুবে যেতে দেখে বোন রাজিয়াকে।

Hooghly Incident of drowning: বছর ১৩-র মেয়েটার মধ্যে ওতটাই সাহস ছিল,  বোনের জন্য মরতেও বুক কাঁপল না তার!
জলে ডুবে মৃত্যু কিশোরীর

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 25, 2022 | 11:29 AM

হুগলি: চোখের সামনে বোনটা ক্যানেলে পড়ে গেছে। ‘বাঁচা বাঁচা’ শুনেই বছর তেরোর মেয়েটা ঝাঁপ দিয়ে দেয় জলে। আদৌ বাঁচাতে পারবে কিনা, একবারের জন্যও ভাবেনি। গহীন জল গ্রাস করছিল তাকে। হাবুডুবু খেয়েই পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল বোনের কাছে। পারেনি। বোন ততক্ষণে ভেসে দূরে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে আর্ত চিৎকার কানে এসেছিল এক স্থানীয়র। তিনিও দুই কিশোরীকে দেখতে পান। কিছু না ভেবে জলে ঝাঁপ দেন তিনিও। এক জনকে হাতের কাছে পেয়েছিলেন, তাকেই বাঁচাতে পারলেন। আরেকজনকে পাননি। বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ক্যানেলে তলিয়ে গেলেন দিদি। রাতভর তল্লাশির পর শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়া বোসপাড়া ক্যানেল পাড় এলাকায়। দিদির নাম কাশিদা খাতুন (১৩)। তিনি সুলতানা হাই মাদ্রাসার ক্লাস সেভেনের ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বোন রাজিয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি কাছে ক্যানেল স্নান করতে যায় কাশিদা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বোনকে জলে হাবুডুবু খেতে দেখে সাত পাঁচ না ভেবেই জলে ঝাঁপ দেয় তেরো বছরের মেয়েটা। সেই সময় ক্যানেলের জলে ডুবে যেতে দেখে বোন রাজিয়াকে। রাজিয়াকে তলিয়ে যেতে দেখে ঝাঁপ দেয় দিদি কাশিদা। দুজনেই জলে তলিয়ে যেতে থাকে। সেই সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি এই ঘটনা দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি ঝাঁপ দেন। প্রথমে রাজিয়াকেই হাতের সামনে পান। তাকেই টেনে পাড়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে তলিয়ে গিয়েছে তার দিদি কাশিদা।

এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পান্ডুয়া থানার পুলিশ। জাল দিয়ে চলে উদ্ধার কার্য। ডিবিসি দুটি গেট কে বন্ধ করে দেওয়া হয়।আলো না থাকার কারণে অন্ধকারে কাজ করতে সমস্য়াও হচ্ছিল। পুলিশ শুক্রবার সকালে ডুবুরি নামিয়ে আবারও উদ্ধারকার্য শুরু করে। তখনই উদ্ধার হয় কাশিদা। এই ঘটনায় শোকের ছায়া বোস পাড়া গ্রাম জুড়ে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, তাঁরা গঙ্গায় নেমে রিল করছিলেন। মত্ত ছিলেন প্রত্যেকেই। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে।

উদ্ধারকারী ওই ব্যক্তি বলেন, “আমি দুটো বাচ্চাকেই ভেসে যেতে দেখছিলাম। মাথায় তখন আর কিছুই আসেনি। আমি জলে নেমে পড়ি। একজনকে হাতের কাছেই পেয়ে যাই। তার জামাটা চেপে ধরি। কিন্তু আরেকজন তখন অনেক দূর। আস্তে আস্তে তলিয়েই গেল। দুজনকে টেনে আনা সম্ভব ছিল না। পরে জানতে পারি ওরা দুই বোন। নিজেরই খারাপ লাগছে।” এই ঘটনায় তিন বন্ধুকে আটক করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: মাকে বলেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে নৌকাবিহারে যাচ্ছেন, বাড়ির লোক দেখন পাড়ে পরে জামা-প্য়ান্ট আর ছেলে…

 

আরও পড়ুন: শহরে বাড়ছে মাদকের ব্যবসা, তা বলে কেন পুলিশের নজরে ওষুধ বিক্রেতারা? অবাক করা ‘কার্যকারণ সম্পর্ক’