হুগলি: রিষড়ায় গুলিকাণ্ডে অভিযুক্তের রোয়াব! ‘তৃণমূল করি…’ গোঁফ পাকাতে পাকাতে বললেন অভিযুক্ত। আলাদাই মেজাজ ধৃত রঞ্জন যাদবের। মাকে মারধরের বদলা নিতেই ব্যবসায়ীকে গুলি বলে জেরায় স্বীকার করেছেন তিনি। ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রিষড়ায় এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। গুলিবিদ্ধ ব্য়বসায়ীর নাম সামসুদ্দিন। অভিযুক্ত রঞ্জনের বাবা এক সময়ে এই ব্যবসায়ীরই গাড়ি চালাতেন। এক বছর আগে কোনও এক অশান্তি সামসুদ্দিন তাঁর মাকে মারধর করেন বলে দাবি ধৃতের। সেই রাগ এক বছর ধরে মনে পুষে রেখেছিলেন তিনি। তার বদলা নিতেই গুলি বলে জেরায় স্বীকার করেছেন তিনি।
সামসুদ্দিনের ভাই মহম্মদ নসরত বলেন, “রঞ্জনের মাথায় হাত আছে তৃণমূলের।” আর সে বিষয়টি অস্বীকার করেননি রঞ্জন। এদিন পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগেও গোঁফ পাকাতে পাকাতে সে কথাই বললেন তিনি। তাঁর শরীরী ভাষায় কোনও অনুশোচনার লেশমাত্র ছিল না।
ব্যবসায়ীর বন্ধু আফতাব আলম বলেন, “আগে বজরঙ দল করত অভিযুক্ত। গত বছর ডিসেম্বর মাসে মারামারি করে জেল খাটে। নিশ্চয় কেউ ওর পিছনে আছে নাহলে আগ্নেয়াস্ত্র পেল কীভাবে।”
বিজেপি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন, “তৃণমূল এইসব সমাজ বিরোধীদের প্রশ্রয় দেয় আশ্রয় দেয়। ভোট লোড রিগিং করার জন্য এই ধরনের লোকেদের দরকার।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে বাগখালে এক ব্যক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন পরিবহন ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন আনসারি। অভিযোগ, অতর্কিতে তাঁর মাথায় গুলি করেন রঞ্জন যাদব। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতার মল্লিক বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হলেও এখনও সঙ্কট কাটেনি ব্যবসায়ীর।
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্ত তৃণমূল করে বলে যে দাবি করেছে সেটা মিথ্যা।এই ধরনের সমাজ বিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই।”