
হুগলি: সকাল থেকে সবই স্বাভাবিক ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে বসে টিফিনও খেলেন যুবক। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বদলে গেল ছবিটা। ব্যালকনি থেকে সটান ঝাঁপ! কী এমন ঘটল? বুঝতেই পারছেন না আত্মীয় বা প্রতিবেশীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া খাদিনামোড় এসবিআই ব্রাঞ্চে ক্লার্ক পদে চাকরি করতেন সৌমেন দে। চন্দননগর রথের সড়কের একটি অভিজাত বহুতলে থাকতেন তিনি। তাঁর পৈতৃক বাড়ি চন্দননগর বৈদ্যপোতায়।
জানা গিয়েছে, প্রথম স্ত্রী’র সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার বছর দুয়েক পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন সৌমেন। তারপর বহুতলে ফ্ল্যাট কেনেন। সেখানেই স্বামী-স্ত্রী দু’জনে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর স্ত্রী বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান। কলকাতায় যাওয়ার জন্য বেরোন তাঁরা। যাওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে টিফিন খান। তারপরই ঘটে যায় অঘটন।
স্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পরই আটতলা ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ মারেন সৌমেন। শব্দ পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। চন্দননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর অশোক গঙ্গোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, “আবাসন থেকে একজন ঝাঁপ দিয়েছে, শুনে আমি এসেছি। উনি একজন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মী। ফ্ল্যাটে তখন একাই ছিলেন। ফ্ল্যাটের উত্তর দিকের লবি থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে জানা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।”
সৌমেনের মাসতুতো দাদা শোভন শীল জানান কী করে হল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। পারিবারিক কোনও সমস্যা বা মানসিক অবসাদ ছিল কি না, তা বলতে পারছেন না তিনি। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।