বৈদ্যবাটি: সবুজসাথীর সাইকেল বেচে দিচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। খবর চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা হুগলির বৈদ্যবাটিতে। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। কাবাড়িওয়ালার পথ আটকে চলল চড় থাপ্পড়। অভিযোগ, স্কুলে থাকা সবুজ সাথীর (Sabuj Sathi) তিনটি সাইকেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন হুগলির (Hooghly) বৈদ্যবাটির বনমালী ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক অমরনাথ ঘোষাল। সাড়ে সাত হাজার টাকার বিনিময়ে পুরনো বই খাতার সঙ্গে ওই তিনটি সাইকেল বিক্রি করছিলেন ওই শিক্ষক। সাইকেল গাড়িতে তুলে চলেও যাচ্ছিলেন কাবাড়িওয়ালা। কিন্তু, তা দেখতে পেতেই পথ আটকান স্থানীয় বাসিন্দারা। মারধর করা হয় কাবাড়িওয়ালাকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এদিকে ততক্ষণে স্কুলের সামনে শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারির দাবিও ওঠে। চন্দননগরের বাসিন্দা কাবাড়িওয়ালা সুজিত পাশোয়ান বলছেন, ভাঙাচোরা কিনতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই সাইকেল দেখতে পেয়ে একটা সাইকেল তিনি তাঁর মেয়ের জন্য চেয়ে নেন।
অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক অমরনাথ ঘোষাল। টাকা নিয়ে সাইকেল বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে জানাচ্ছেন তিনি। তিনি বলছেন, “স্কুলে কিছু পুরোনো লোহা ভাঙা, পাইপ, কাচ, বই-খাতা ছিল। সেগুলিই বিক্রি করা হচ্ছিল। তখনই না বুঝে সবুজ সাথীর সাইকেল গাড়িতে তুলে নিয়েছিলেন ওই কাবাড়িওয়ালা।” অন্যদিকে এ ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। শেওড়াফুলি বৈদ্যবাটী শহর তৃণমূলের সভাপতি শ্যামলেন্দু মুখার্জিও ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি করেছেন।