
হুগলি: চুঁচুড়া ইন্ডোর স্টেডিয়ামের গেটে তালা, কাঠামো রাখার জায়গা নেই পুরসভার।
সরকারি দুই দফতরের সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন। জলঘোলা হতেই আট ঘণ্টা পর খুলল তালা। চুঁচুড়া অন্নপূর্ণা ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন চলছে দশমী থেকে। বৃহস্পতিবার প্রতিমার কাঠামো গঙ্গা থেকে তুলে ঘাটের পাশেই চুঁচুড়া ইন্ডোর স্টেডিয়াম মাঠে জড়ো করা হয়।প্রতিমার কাঠামো রাখতে গিয়ে পুরসভার কর্মীরা দেখে গেটে তালা দেওয়া। ইন্ডোর স্টেডিয়াম হুগলি জেলা প্রশাসনের অধীন। বর্তমানে যুব কল্যাণ দফতর দেখভাল করেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরাও স্টেডিয়ামে থাকে।
গেটে তালা থাকায় কাঠামো রাখতে সমস্যায় পড়ে পুরসভা। গঙ্গার ঘাটের পাশেই জড়ো করে রাখতে বাধ্য হয়। ফলে গঙ্গার পাড়ে যে পার্ক রয়েছে, তাতে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। যারা প্রতিমা বিসর্জন দেখতে আসেন তাঁদেরও অসুবিধায় পড়তে হয়।
হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় স্টেডিয়ামের গেট খুলে দিতে বলেন কর্মীদের। তাঁরা জানান, তাঁদের কাছে চাবি নেই। অমিত রায় ফোন করেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে। তাতেও তালা খোলেনি।
স্বাস্থ্য দফতরের পুরো পারিষদ জয়দেব অধিকারী, মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে বিষয়টি জানান পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। জয়দেব অধিকারী বলেন, “দুটোই সরকারি দফতর সেখানে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। আমরা বলেছিলাম কাঠামো জড়ো করার পর কয়েকদিনের মধ্যেই নির্দিষ্ট জায়গায় সরিয়ে ফেলা হবে।কিন্তু দেখা গেল আজকে গেটে তালা মেরে রাখা হল। আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে সরকারি দফতর বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে থাকি। এবার সেটা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভাবনা চিন্তা করব।”
চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন সুষ্ঠুভাবে যাতে সবকিছু হয়। এটা পুরসভার নিজস্ব কোন কাজ নয় সাধারণ মানুষের কাজ।এখানে দেখা যাচ্ছে বাধা আসছে। আমরাও তো বিভিন্ন জায়গায় পরিষেবা দিই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করি। আসলে এখানে মদ গাজার আসর বসে নানা অসামাজিক কাজ হয় তাতে ব্যাঘাত হচ্ছে বলেই তালা দেওয়া হয়েছে।” রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অবশেষে তালা খুলে দেওয়া হয়।