হুগলি: অকাল বৃষ্টিতে জমিতেই পচেছে ধান। নষ্ট হয়েছে আলুর বীজও। ঋণ নিয়ে চাষ করে প্রভূত ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। এই পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন। এরই মধ্যে বাংলায় এক চাষি আত্মঘাতী। চাষে প্রভূত ক্ষতির সম্মূখীন হয়ে মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করলেন এক চাষি। ঘটনা খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ এলাকার। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই চাষির নাম তরুণ পালুই(৩৭)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণ প্রায় ৮ বিঘা জমির ধান চাষ করেছিলেন। কিন্তু প্রায় সবটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাতেই এই আত্মহত্যার ঘটনা। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারিভাবে ঋণ না নিলেও ব্যক্তিগত ভাবে প্রচুর দেনা করেই চাষ করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি দুধেরও ব্যবসা করতেন। তাতেও লোকসান। আর বৃষ্টির জেরে ধান জমিতে জল জমে নষ্ট হয়ে যায় ফসল। মাঠ থেকে ধান তোলার জন্য জনমজুরও পাননি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। আর এই নিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও মনোমালিন্য ও ঝগড়া হয়। পরিবারের সদস্যরাই সেকথা জানাচ্ছেন। আর এই জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তরুণ। শুক্রবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।