হুগলি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছিলেন নির্দলদের আর দলে ফেরানো হবে না। তবে কোথায় কী? হুগলির চিত্র বলছে অন্য কথা। তৃণমূল থেকে নির্দল হওয়া উত্তরপাড়ার কাউন্সিলর পিনাকি ধামালী ফের ফিরলেন দলে। গতবারের পৌরসভা নির্বাচনের সময় দল থেকে টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কর্মী। রবিবার ঘরওয়াপসি হল তাঁর।
উত্তরপাড়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাতবারের কাউন্সিলর পিনাকি ধামালীকে গত পুরসভা ভোটে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। অভিমানে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে উত্তরপাড়ার কয়েকটি ওয়ার্ডে নির্দলে প্রার্থী দেন। নিজেও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জেতেন পিনাকি। জেতার পর থেকে পুরনো দলের ফেরার চেষ্টা করতে থাকেন।
অবশেষে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে উত্তরপাড়ায় আবার তৃণমূলে যোগ দেন। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেক দিন ধরে আমাকে বলছিল। আমি আর অরিন্দম কথা বলি। তারপর আজ দলের এক কর্মসূচিতে পিনাকিকে যোগদান করালাম। ও আমাদের পুরোনো লোক।” অরিন্দম গুঁইন বলেন, “দলনেত্রীর নির্দেশে পিনাকি ধামালীকে দলে ফেরানো হল। পিনাকিদা আমাদের পুরনো কর্মী। এক চেয়ারম্যান ছিলেন। যে কোনও কারণেই হোক টিকিট পাননি।”
পিনাকি ধামালী বলেন, “৯৮ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি। দল যখন টিকিট দিল না অভিমান হয়েছিল। ভেবেছিলাম আর দাঁড়াব না। পরে দেখলাম অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম। দল যে দায়িত্ব দেবে পালন করব।”
বস্তুত,পিনাকি ধামালী উত্তরপাড়ার বর্তমান চেয়ারম্যান দিলীপ যাদবের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসাবেই পরিচিত। পিনাকি আবার দলে আসায় দিলীপের কি চাপ বাড়বে? দিলীপ যাদব যদিও এনিয়ে কিছু বলতে চাননি। বিজেপি নেতা প্রণয় রায় বলেন, “ওদের কথায় আর কাজে মিল নেই সবাই জানে। পুরসভা ভোটের সময় বলল নির্দল হয়ে দাঁড়ালে তাকে দল আর কোনও দিন ফেরাবে না। ওরা কাকে নেবে সেটা ওদের ব্যাপার।”