
হুগলি: আরটিজিএস (RTGS)-এর মাধ্যমে এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে খুব সহজেই বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করা সম্ভব হয়। কিন্তু তাতেও প্রতারণা? এআই (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৭ লক্ষ টাকার প্ৰতরণা ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের। তবে এত সবের পরও শেষ রক্ষা হল না। উত্তর প্রদেশের বরেলির দুষ্কৃতীকে নয়ডা থেকে গ্রেফতার হুগলি গ্রামীণ পুলিশের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে সবটা জানালেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার জানান, গত মাসের তিরিশ তারিখে সাইবার থানায় একটি অভিযোগ করেন গৌরব দত্ত নামে পান্ডুয়ার এক ব্যবসায়ী। পান্ডুয়ার একটি অটোমোবাইল সংস্থার ক্রেডেনশিয়াল ব্যবহার করে পান্ডুয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে আরটিজিএস এর মাধ্যমে ২৬ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দেওয়া হয়। ডেবিট মেসেজ এলে জানা যায় এই ঘটনা। এরপরই ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করে এনসিআরপি পোর্টালে অভিযোগ জানান। পাশাপাশি হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার থানাতেও অভিযোগ জানান গৌরব দত্ত নামে ওই ব্যবসায়ী।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে চারটি অ্যাকাউন্টে টাকা সরানো হয়েছে। তার মধ্যে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তরপ্রদেশের বরেলি এলাকার সোনার দোকান থেকে সোনার গহনা কেনা হয়েছে অনলাইনে।
সেই সোনার দোকানে যোগাযোগ করে পুলিশ। সেখান থেকে অপরাধীর ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে। সিসিটিভির ফুটেজ পেয়ে যায় পুলিশ। এরপর অপরাধীর মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে নয়ডার মেট্রো স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পুরো টাকাও উদ্ধার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এটা একটা বড় চক্র। যারা মানুষকে এইভাবে প্রতারিত করছে। এই দলে আরও অনেকে রয়েছে। তবে তাদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে এসে হুগলি থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় তারপর তাকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরটিজিএস এর মাধ্যমে কী করে অপরাধীরা মানুষকে প্রতারণা করছে তা খতিয়ে দেখছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা। আরটিজিএস-এর মাধ্যমে অনেক বেশি টাকা একসঙ্গে লেনদেন করা যায়। তাই এই পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অনুমান পুলিশের।