হুগলি: ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার পুরভোটে ‘আক্রান্ত’ দলীয় কর্মীকে দেখতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সোমবার হুগলির উত্তরপাড়ায় শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কালো পতাকা, মুখে গো ব্যাক স্লোগান বিক্ষোভকারীদের। রবিবার ১০৮ পুরসভায় ছিল ভোট। তার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার রাতে কোন্নগরের বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার বিজেপি নেত্রীকে দেখতে যাচ্ছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময়ই রাস্তায় তাঁর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রোজই ১০-২০ জন লোক এসব করে। সবকিছু ক্যামেরাবন্দি করে রাখা হচ্ছে। আদালতে মামলা চলছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই ছবি বের করে সবাইকে ‘ভিতরে’ ঢোকানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কৃষ্ণাদি দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। এভাবে ভোটের আগের দিন ওনাকে মারা লজ্জার। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, যাঁরা মারল তাঁদের চেনেন কি না। উনি বললেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে’। গত বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণাদি আমার সঙ্গে প্রার্থী-সহ গোটা রাস্তাটাই ঘুরেছেন। দেখেছিলাম সকলে ওনাকে সম্মান জানাচ্ছে। এমন একজন সকলের শ্রদ্ধেয় দিদি বা মাসিমা তাঁর উপর এমন বর্বরের মতো আক্রমণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। যাঁরা মেরেছেন তাঁরা তৃণমূল করেন বলেই উনি জানিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী হওয়ার জন্যই উনি মার খেলেন। হাতে অপারেশন করতে হবে। মাথায় লাগলে কী হত জানি না।”
এদিন কৃষ্ণা ভট্টাচার্যকে দেখে বেরোনোর সময় উত্তরপাড়া থানার আইসি পার্থ সিকদারকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দয়া করে গ্রেফতার করুন এদের। আমাদের যেন হাইকোর্টে যেতে না হয়। এটাকে রাজনৈতিক ভাবে না দেখে মানবিক ভাবে দেখুন। আমি বিরোধী দলনেতা হিসাবে বলে গেলাম। এরপর হাইকোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করব।”
আরও পড়ুন: Covid Restriction: আজই সংক্রমণে নতুন রেকর্ড বাংলার, নবান্ন থেকে জারি হল বিধিনিষেধের নয়া নির্দেশিকা
আরও পড়ুন: Anis Khan Death: আনিসের দ্বিতীয় ময়না তদন্ত শেষ, রাতেই দেহ পৌঁছল আমতায়