চুঁচুড়া: জন্মদিনের পার্টি আছে। বাড়িতে মেয়েকে ডাকতে এসে বলেছিল বন্ধু। ভরসা করে মেয়েকে ছেড়েও দিয়েছিলেন মা-বাবা। কিন্তু, রাত গভীর হলেও মেয়ে ঘরে ফেরেনি। তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার। শেষে শহরের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার নাবালিকা। ঘরে ফিরে নাবালিকা জানাল তাঁর উপর যৌন নির্যাতন করেছে তার বন্ধুরাই। পুলিশে দায়ের অভিযোগ। অভিযোগ পেয়েই তিন বন্ধু-সহ হোটেল ম্যানেজারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের ধারা দেওয়ার পাশাপাশি পকসো আইনেও রুজু হয়েচে মামলা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়াতে।
১৫ বছরের ওই নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বুধবার সন্ধ্যায় মেয়েটির এক বন্ধু তাকে ডাকতে আসে। তার বাড়ি কাপাসডাঙা এলাকায়। বাড়িতে এসে জানায়। এক বন্ধুর জন্মদিন আছে। সেই পার্টিতেই যাবে তারা। ভরসা করে মেয়েকে ছেড়েও দেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, ঘড়ির কাটা ১০টা পেরিয়ে গেলেও ঘরে ফেরেনি ওই নাবালিকা। তাতেই চিন্তা বাড়ে তার পরিবারের সদস্যদের। এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও সুরাহা হয়নি। শেষে চুঁচুড়া থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। মেয়েটির বন্ধুরাই তাকে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহ হয় তাঁদের। সেই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে।
পুলিশ অভিযোগ পাওয়া মাত্রই খোঁজখবর শুরু হয়। হানা দেয় চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি এলাকার একটি নামী হোটেলে। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। গ্রেফতার করা হয় নাবালিকার তিন বন্ধুকে। তারা সকলেই নাবালক বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি তারা নাবালিকার সঙ্গে একই পাড়ায় থাকত। জবানবন্দি নেওয়া হয় নাবালিকার। সেখানেই সে জানায় সে যৌন নির্যাতনের শিকার। হোটেলেই তার সঙ্গে কুকর্ম করা হয়েছে। তার জবানবন্দি শুনেই হোটেলের ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে পকসো আইন। এদিন ধৃতদের আদালতে তোলা হচ্ছে।