Money Recovery: হুগলিতে বান্ডিল বান্ডিল নোট উদ্ধার, টাকার উৎস নিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ধৃতদের

Sanath Majhi | Edited By: Soumya Saha

Jul 19, 2023 | 9:34 PM

Money Recover: ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় ও ৪১১ ধারায় চুরি ও চোরাই মাল কেনাবেচার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। ধৃতদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ।

Money Recovery: হুগলিতে বান্ডিল বান্ডিল নোট উদ্ধার, টাকার উৎস নিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ধৃতদের
টাকা উদ্ধার
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

Follow Us

চণ্ডীতলা: রাজ্যে ফের বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার। পুলিশের নাকা চেকিং চলাকালীন উদ্ধার হল ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। একটি মোটর বাইকে চেপে দুই যুবক এই বিপুল পরিমাণে টাকা নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়েই তাদের পাকড়াও করে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সমীর মল্লিক ও শেখ সামিউল্লা। গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকেরই বাড়ি চণ্ডীতলা থানা এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দুই যুবক সোনা কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় ও ৪১১ ধারায় চুরি ও চোরাই মাল কেনাবেচার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। ধৃতদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে চণ্ডীতলার ভগবতীপুর এলাকায় রাস্তার উপর নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সময় ওই দুই যুবক একটি মোটর বাইকে চেপে আসছিল। তাদের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তখন ওই দুই যুবককে তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। বেরিয়ে আসে ৫০০ টাকার মোটা মোটা বান্ডিল। সব মিলিয়ে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া যায় ওই দুই যুবকের থেকে। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে এল, সেই প্রশ্নের কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি তারা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাইক-সহ আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় নিয়ে যাওয়ার পরেও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ চলে। কিন্তু ওই টাকার উৎস কী, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। শেষে দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরবর্তীতে হুগলি জেলা গ্রামীণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদার জানান, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ওই দুই যুবক সোনার কারবারের সঙ্গে যুক্ত। কিছুদিন আগেই চণ্ডীপুরে ফিরেছে। তার আগে কানপুরে সোনা কেনাবেচা করেছে। কিন্তু এই টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু স্পষ্টভাবে বলতে পারেনি তারা। একাধিকবার পুলিশি জেরায় একাধিক উত্তরের মাধ্যমে অভিযুক্তরা পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও জানা যাচ্ছে।

 

Next Article