আরামবাগ: অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর। সেই সন্দেহেই ভোর বেলা নিজের বাড়িতেই স্ত্রীকে খুন করে থানায় পৌঁছে গেল স্বামী। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আরামবাগের সালেপুরের দাস পাড়ায় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভোরে। দীর্ঘদিন থেকেই সালেপুরে থাকেন রঞ্জিত দাস। তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী ঋতু দাসকে (৩৫) খুনের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, রঞ্জিতের সঙ্গে বিয়ের আগেও ঋতুর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। তাঁর একটি কন্যা সন্তান আছে। কিন্তু কন্যা সন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আবারও রঞ্জিতের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তাও প্রায় ১৫ বছর আগে। তারপর থেকে তাঁর সঙ্গেই চলছিল সংসার। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে।
রঞ্জিতের পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি ঋতু একটি পরকীয়া করছে বলে তাঁরা শুনতে পান। যা নিয়ে রঞ্জিতের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা হত। রঞ্জিত দাসের মাও বলছেন সে কথা। তাঁর কথায়, অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই ওদের মধ্যে অশান্তি হত। ছেলেই ভোরবেলা বৌমাকে মেরে থানায় গিয়ে সারেন্ডার করেছে। এদিকে সব শোনার পর রঞ্জিতকে নিয়ে এলাকায় যায় আরামবাগ থানার পুলিশ। সরজমিনে গোটা বাড়ি খতিয়ে দেখা হয়। তদন্তকারীরা কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃত গৃহবধূর ছেলে বলছে, “মায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়েছিল রাতে। তারপর আর কিছু জানি না।” ঋতুর বাবা গুরুপদ নন্দী অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলছেন, তাঁর সঙ্গে তাঁর মেয়ের সম্পর্ক ছিল না। থানা থেকে ফোন করতেই তিনি এসেছেন। আরামবাগ থানার পুলিশ জানিয়েছে এদিনই আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হবে অভিযুক্তকে।