
হুগলি: ‘জেলে যখন যেতেই হবে, তোকে মেরেই যাব’,ফোন করে বলেছিল স্বামী। ভয় পেয়ে আত্মীরের বাড়ি চলে যাচ্ছিলেন গৃহবধূ। তবে না, শেষ রক্ষা হল না। রাস্তাতেই তাঁকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্ত। হুগলির দাদপুর থানার বিলাতপুর এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম মনজুরা খাতুন (২৮)। তাঁকেই খুনের হুমকি দিয়েছিল স্বামী। শেষে সত্যি-সত্যিই প্রাণে মেরে ফেলল তাঁকে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরের পায়ড়াউড়া গ্রামে বাড়ি রজব আলির।তাঁর স্ত্রী মনজুরা খাতুনের সঙ্গে দাম্পত্য সুখের ছিল না। মনজুরার দাদা শেখ রফিকের অভিযোগ, একবার কয়েকজন বন্ধুকে দিয়ে তাঁর বোনকে মারধর করে রজব। সেই সময় তাঁর ভদ্রেশ্বরে বাপের বাড়ি চলে যান। দিন পনেরো আগে ভদ্রেশ্বর থানায় বধূ নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের হয়। এরপরই রজব আলি স্ত্রীকে ফোন করে জানায় ঝামেলা মিটিয়ে নিয়ে আবার তাঁরা সংসার করবে। সেই মতো মনজুরা আবার শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। দিন দু’য়েক আগে ভদ্রেশ্বর থানার অন্তর্গত শ্বেতপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ফোন করে রজবকে দেখা করতে বলে। তখনই বেঁকে বসে অভিযুক্ত। গতকাল (শনিবার) রাত ১১ টা নাগাদ মনজুরাকে ফোন করে জানায়, ‘জেলে যখন যেতেই হবে তোকে মেরে তবেই যাব।’
মৃতার পরিবারের দাবি, ভয় পেয়ে তাঁদের বাড়ির মেয়ে দুই সন্তান ও এক প্রতিবেশী মহিলাকে নিয়ে হারিট গ্রাম পঞ্চায়েতের জেটে গ্রামে মামার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন। তবে বিলাতপুরের কাছে তাঁকে ধরে ফেলেন রজব। দুই সন্তানকে তিনি সঙ্গে-সঙ্গে এক বন্ধুর বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এরপর মনজুরা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে তাড়া করে অভিযুক্ত। তারপর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা হয় তাঁকে।
মনজুরার সঙ্গে থাকা ওই মহিলা ফোন করে বাপের বাড়ির লোকজনদের খবর দেন।রাতে গিয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। দাদপুর থানার পুলিশ খুনের মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত রজব আলি। মৃতদেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।