বাঁশবেড়িয়া: পরকীয়ায় (Extramarital affair) লিপ্ত রয়েছে স্ত্রী। সেই সন্দেহেই স্ত্রী-সহ দুই সন্তানকে খুনের চেষ্টা স্বামীর। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত শাশুড়ি। ঘটবায় গ্রেফতার অভিযুক্ত স্বামী। চাঞ্চল্য়কর এ ঘটনা ঘটেছে মগড়া থানার বাঁশবেড়িয়া সাহেববাগান এলাকায়। অভিযুক্তের নাম সন্দীপ পাশি। পেশায় দিনমজুর। বহুদিন কাজ করেছেন ভিনরাজ্যে। বর্তমানে বাড়ি ফিরে দিনমজুরের কাজ করছিলেন বাঁশবেড়িয়াতেই। সূত্রের খবর, এদিন বিকালে মদ্যপ অবস্থা বাড়ি ফেরেন সন্দীপ। সে সময় তাঁর এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় তাঁদের বাড়িতে ছিলেন। তাঁর সঙ্গেই পরকীয়ার সম্পর্ক আছে স্ত্রীর। এমনটাই সন্দেহ করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন সন্দীপ।
মুহূর্তেই পকেট থেকে ছুরি বের করে এলোপাথাড়িভাবে চালাতে থাকেন স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে। স্ত্রীর হাতে লাগে ছুরির আঘাত। বাড়িতেই ছিল তাঁর বছর চারেক ও বছর দেড়েকের দুই ছেলে। অভিযোগ, তাদের দুজনের গলায় চালিয়ে দেন ছুরি। কাছেই ঝুলুনিয়ায় সন্দীপের শ্বশুরবাড়ি। মেয়ের বাড়িতে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে গিয়েছে, এ খবর পেয়ে মেয়ের কাছে ছুটে আসেন শাশুড়ি। জামাইকে আটকাতে গেলে তাঁর উপরেও ছুরি নিয়ে হামলা চালায় সন্দীপ।
খবর যায় পুলিশে। বাঁশবেড়িয়া মিল ফাঁড়ির পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। আহত ৪ জনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই শিশুর গলায় গভীর ক্ষত হয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের অস্ত্রোপচার হয়েছে। সন্দীপের শ্বশুর জানাচ্ছেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে কারও কোনও বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক নেই। অথচ, তারপরেও সন্দেহের বশে লাগাতার তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার করছে জামাই। এদিন সেই অত্যাচার মাত্রা ছাড়ায়। আর কোনওভাবেই মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাতে চাইছেন না তিনি। যদিও অভিযুক্তের দাবি, সে বাড়ি ফিরে এসে তাঁরই আত্মীয়র সঙ্গে স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে। তারপরই হয় অশান্তি।