
জাঙ্গিপাড়া: মাস তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইফতারে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। তখন থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। অবশেষে সোমবার তৃণমূল প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানাল, ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের এই পদ পাওয়ার পর কী বলছেন ফুরফুরা শরিফের এই পীরজাদা? রাজনীতিতে কেন আসলেন তিনি? তৃণমূলে পদ পাওয়ার পর মুখ খুললেন পীরজাদা কাশেম।
কেন রাজনীতিতে পা রাখলেন তিনি? প্রশ্ন শুনেই কাশেমের সোজাসাপ্টা জবাব, “২৮ বছর ধরে ধর্মসভা করছি। দেখেছি, একটা দলে না আসা পর্যন্ত কোনও মানুষের জন্য কোনও কাজ করা যাবে না। এইজন্য সিদ্ধান্ত নিলাম, মানুষের জন্য কিছু কাজ করতে হবে। সেজন্য আমার দলে আসা। ফুরফুরা শরিফেও ঠিক ঠিক মতো কাজ হয়নি। মানুষ যাতে সঠিক কাজটা পায়, সেজন্য দলে আসা।”
একসময় বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এখন সেই দলেই যোগ দিলেন। ভবিষ্যতে কি কোনও ইস্যুতে সরব হতে দেখা যাবে তাঁকে? এতটুকু না ভেবেই কাশেম বললেন, “যেখানে মানুষ বিপদে পড়েছে, সেখানে প্রতিবাদ করেছি। আগামিদিনেও মানুষ বিপদে পড়লে প্রতিবাদ করব।” ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নে খামতি নিয়ে তিনি সরব হবেন বলে জানালেন।
রমজান মাসে ফুরফুরায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসময়ই তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে কথা হয়েছিল? কাশেম বলেন, “ফুরফুরা শরিফে উনি যখন এসেছিলেন, তখন আমাদের অতিথি ছিলেন। তখন আমাকে তাঁরা কিছু বলেননি। তাঁরা হয়তো ভেবেছেন। আজকে আমাকে দিয়েছেন, আমি খুশি। পীর পরিবার খুশি। বাংলার মানুষের জন্য আমাকে কাজ করতে হবে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “ফুরফুরা শরিফের পীর পরিবারকে এতবড় দায়িত্ব দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই।”
কয়েকমাস পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তিনি কি প্রার্থী হবেন? এই নিয়ে কাশেম বলেন, “সেটা দল সিদ্ধান্ত নেবে। দল সিদ্ধান্ত নিলে স্বাগত জানাব।” কাশেমের তুতো ভাই ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে কি চিড় ধরতে পারে? কাশেমের বক্তব্য “নওশাদ আমার ছোট ভাই। ভাল সম্পর্ক।” এদিকে, এদিন রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন নওশাদ। হাতে চায়ের কাপ ধরে নিজের ছবি দিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন, “কাপে কিন্তু চা নেই।”