হুগলি: মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন স্বামীর কাছে ঘ্যানঘ্যান করতেন স্ত্রী। পেশায় রঙ মিস্ত্রি স্বামীর পক্ষে সেই আবদার মেটানোর ক্ষমতা অত ছিল না। কিন্তু তবুও স্ত্রীর আবদারে কোনও রকম ত্রুটি রাখেননি স্বামী। অনেক চেষ্টা করে শেষমেশ একটা ফোন কিনে দেন স্বামীকে। ভেবেছিলেন হয়ত সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে। অশান্তির সংসারে খানিকটা শান্তি আসবে। কিন্তু কোথায় কী! ফোন কিনে দেওয়ার পর এল আর এক সমস্যা। প্রেম দিবসে পর পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী। দুই সন্তান নিয়ে অসহায় বাবা চাইছেন তাঁদের মা যেন এবার ফিরে আসেন।
চঁচুড়া রবীন্দ্রনগর কালিতলার বাসিন্দা নিতাই দে। রঙের কারখানায় কাজ করতেন তিনি। স্ত্রী সুমীর সঙ্গে দীর্ঘ চোদ্দ বছরেরে বিবাহিত জীবন। বিয়ের প্রথম-প্রথম ভালোই কাটছিল। নিতাই ও সুমীর একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। মেয়ে মৌসুমীর বয়স পাঁচ আর ছেলে শুভমের বয়স বারো।
তবে ছন্দপতন হল বছর দুই আগে। বাড়ির সামনে একটি ওয়েল্ডিং এর দোকানে কাজ করত বাপি বড়াল নামে এক যুবক। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমীর। এবার তাঁদের প্রেমের কথা জানাজানি হতেই অশান্তি শুরু হয় বাড়িতে। এরপর কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর সুমী শুরু করে নতুন আবদার। ফোন কিনে দিতে হবে বলে স্বামীর কাছে বায়না করতে থাকেন তিনি। অনেক কষ্ট করে স্বামী সেই আবদারও রাখেন। কিন্তু মোবাইল কিনে দেওয়ার পরই দেখা যায় বেশির ভাগ সময় ফোনে কারোর সঙ্গে কথা বলতে থাকেন ওই মহিলা। হঠাৎ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসের দিন মেয়েকে পড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বের হন তিনি এরপর আর বাড়ি ফেরেননি।
নিতাই বলেন, “ভ্যালেন্টাইন ডে’র দিন সন্ধ্যে বেলায় মেয়ে পড়াতে নিয়ে যায়। ফেরার পথে বাপি ওকে ফোন করে ডাকে এলাকার একজনের বাড়িতে। সেটা আমি দেখে সুমীকে বকাবকি করি। তারপর সেই যে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেল আর ফেরেনি। একদিন ফোন করে ছেলে-মেয়ের কথা জিজ্ঞাসা করে। তারপর আর কোনও যোগাযোগ নেই। জানতে পেরেছি বাপির এক আত্মীয়ের বাড়ি দ্ত্তপুকুরে তারা রয়েছে। ১৬ তারিখে চুঁচুড়া থানায় মিসিং ডায়রি করেছি। ছেলে-মেয়ে কান্না-কাটি করছে। আমি চাই সুমি ফিরে আসুক।” সুমির শাশুড়ি জয়া দে পনেরো দিন আগে মেয়ের জন্মদিন করে ধুমধাম করে। আমার ছেলে কোনও কিছুর অভাব রাখত না। তারপরও এমন করল বৌমা।”
আরও পড়ুন: Municipal Elections: বিজেপি প্রার্থীদের নিরাপত্তা নেই! আদালতে দায়ের হল মামলা