
হুগলি: সারা বছর শান্তরূপে দক্ষিণা কালী হংসেশ্বরীর পুজো হয়। তবে কালী পুজোর দিন মা ধারণ করেন রুদ্র রূপ। মুখে রূপোর মুখোশ,সোনার জিভ পড়ানো হয়। মাথায় মুকুট ও রাজবেশ ধারণ করার পর অমাবস্যায় পুজো শুরু হয়। পুজো শেষ হওয়ার পর রাজবেশ খুলে ফেলা হয়। পরে মা আবার শান্তরূপ ধারণ করেন।
বর্তমানে যেখানে হংসেশ্বরী মন্দির রয়েছে, তার পাশেও কয়েকটি মন্দির রয়েছে। রাজ পরিবারের বাড়ির কিছু অংশ অবশিষ্ট রয়েছে।
ইতিহাস বলছে…
কথিত আছে, রাজা নৃসিংহ দেব রায় ১৮০১ সালে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেন। পরে হংসেশ্বরী মন্দিরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। বেনারস থেকে গঙ্গায় ভেসে আসা নিম কাঠের গুড়ি দিয়ে মূর্তি তৈরি হয়। মূর্তিতে কোনও জোড়া তাপ্পি দেওয়া হয়নি। এক নিম কাঠ কেটে তৈরি করা।
বছরে দু’টো বড় উৎসব হয় হংসেশ্বরী মন্দিরে। কালীপুজো আর স্নান যাত্রা। সাধারণ সময়ে সকাল সাতটায় মন্দির খোলে। দশটায় পুজো শুরু হয়। ভোগ নিবেদন হয়। দুপুরে ভোগ নিতে পারেন ভক্তরা।
হংসেশ্বরী মন্দির হেরিটেজ সম্পত্তি। বর্তমানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্বাবধানে রয়েছে। মন্দিরের সেবাইত জানান, “বছরে এক রাতের জন্য রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। ওই দিন সন্ধ্যা আরতির পর তাঁকে রাজবেশ পরানো হয়। রুপোর মুখোশ ও সোনার জিভ পরানো হয়। গায়ে কোনও বস্ত্র থাকে না দেবী। ফুলমালা দিয়ে ঢাকা থাকে।মা এদিন এলোকেশি রূপে দেখা দেন। পুজো শেষে ভোর চারটে সেসব আবার খুলে ফেলা হয়। শান্ত রূপে ফিরে আসেন মা।” প্রতিবছরই কালী পুজোয় ভক্তের ঢল নামে হংসেশ্বরী মন্দিরে। লাইন দিয়ে পুজো দেন ভক্তরা। পুলিশি নিরাপত্তা থাকে আঁটোসাটো।