
হুগলি: বাংলায় খুন-ধর্ষণ বাম আমলেই সবচেয়ে বেশি ছিল। তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। আর পরিসংখ্যানের এই লড়াইয়ে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে টেনে আনতে ভোলেননি তিনি।
এদিন কল্যাণ বলেন, ‘আজ কিছু বামপন্থীরা বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন, তাঁদের অতীত কেউ ভুলে যায়নি। বাংলায় খুন-ধর্ষণ তাঁদের আমলেই বেশি হয়েছে। আর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময় সেটা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ওঁর ছবি টাঙিয়ে যতই বুদ্ধিজীবী বলুন না কেন, আমরা কিন্তু এখনও বলি, ছিঃ বুদ্ধ ছিঃ! উনি শ্রদ্ধেয়, মারা গিয়েছেন। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কদর্য ইতিহাস তৈরি করে গিয়েছেন। তাঁর সময় পুলিশ সিপিএম-র গোলাম হয়ে থাকত।’
বাম আমল গিয়েছে। সে সময়ের বিরোধী এখন হয়েছে শাসক। আর বাংলার রাজনৈতিক অঙ্কে যাঁদের প্রায় অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলে, বর্তমানে তাঁরা হয়েছেন প্রধান বিরোধী। সুতরাং, কল্যাণের আক্রমণের সমীকরণ এক কী করে থাকে? শ্রীরামপুরে আয়োজিত তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে শুভেন্দুর দিকেও আক্রমণ শানালেন কল্যাণ।
তিনি বললেন, ‘এখন এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৬ এর ভোটে কত হাজার ভোটে তোমাকে হারাতে হয় শুধু দেখে নিও। তুমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছ। কত বড় নেতা? আমি তোমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম। শ্রীরামপুর কেন্দ্রের যে কোনও একটা আসনে দাঁড়িয়ে যদি জিতে দেখাও। তবে বুঝব তুমি বাপের ব্যাটা।’ পাশাপাশি, দুর্গাপুর নিয়েও রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করছেন বলেই অভিযোগ কল্যাণের। তাঁর কথায়, ‘দুষ্কৃতীদের কোনও ধর্ম নেই। তাঁরা দুষ্কৃতী। দুর্গাপুরে যে ঘটনাটা ঘটেছে শুভেন্দু অধিকারী, সেটা নিয়েও হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করছেন।’