শ্রীরামপুর: ঢাকের বোলে তালে-তাল মিলিয়ে নাচতে দেখা গেল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরপাড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা গত বিধানসভা ভোটের উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষালকে। দু’জনই বললেন, ‘এর মধ্যে রাজনীতি নেই। পুজোর সময় সৌজন্য বিনিময় করতেই একসঙ্গে এই নাচ।’
এর আগে সপ্তমীতে ঢাক বাজিয়ে ছিলেন তিনি। অষ্টমীর দিন দুর্গা প্রতিমার দিকে তাকিয়ে কাঁদতে দেখা যায় কল্যাণবাবুকে। এরপর নবমীর দিন হুগলীর শ্রীরামপুরের গান্ধী ময়দানের পুজোতে ধুনুচি হাতে নাচতে দেখা তৃণমূল সাংসদকে। আজ বিজয়া দশমী। মহামায়ার বিদায়ের সময়। সিঁদুর খেলা, ঢাকের বোল বেজে উঠছে গোটা রাজ্যজুড়ে।এ দিন, শ্রীরামপুরে ঠাকুর নিরঞ্জনে বেরিয়ে ঢাকের তালে এক সঙ্গে নাচলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রবীর ঘোষাল।
প্রসঙ্গত, প্রবীর ঘোষাল ২০২১ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। উত্তরপাড়া থেকে বিজেপি প্রার্থীও হন। নির্বাচনে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিকের কাছে। এর পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় প্রবীরবাবুর।
এরপর তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় কলম ধরেন প্রবীর ঘোষাল? লেখেন কেন বিজেপি করা যায় না! চর্চা শুরু হয় প্রবীর বাবু হয়ত তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন। কিন্তু সেসময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেক নেতার তৃণমূলে ঘর ওয়ারপসি নিয়ে কর্মীদের বিক্ষোভ শুরু হয় দিকে দিকে।তৃ ণমূলে ফিরতে চাওয়া নেতাদের সম্পর্কে ধীরে চলো নীতি নেয় দল। তখন প্রবীর ঘোষাল জানান , এখনই তৃণমূলে ফেরা বা না ফেরা নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, এ বিষয়ে তাঁর জানা নেই। প্রবীর বাবুর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের আলাপ।তাই পুজোর সময় দেখা হল সৌজন্য বিনিময় হল। কে কী দল করেন এই সময় তা বিচার্য বিষয় নয়। একই সঙ্গে পুজোর সময় বিরোধী যাঁরা তাঁদেরও শুভেচ্ছা জানান কল্যাণ। অপর দিকে, প্রবীর ঘোষাল বলেন, ‘দুর্গাপুজোকে বরবার অন্য রকম ভাবে দেখি। এখন কোনও রাজনীতি নয়। কল্যাণদার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।’