কোন্নগর: আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুললেন অভিনেতা তথা উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। সরকারি কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, “অনেক সরকারি কর্মচারি কর্মবিরতি করছেন। তারা কি সরকারি বেতন না?” প্রশ্ন ছুড়লেন অভিনেতা।
আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ছবি তৃণমূলের। সেরকমই রবিবার সকালে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কোন্নগর শহর ও নবগ্রাম মহিলা তৃণমূলের উদ্যোগে ধর্নামঞ্চ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক।
সেই ধরনা মঞ্চ থেকে কাঞ্চন বলেন, “আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমিও সচেতন নাগরিক হিসাবে বলছি আমার বাড়িতেও স্ত্রী মা দিদি আছেন। আমিও চাই দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। এই ঘটনায় একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। কলকাতা পুলিশই গ্রেফতার করেছে। এরপর কেস সিবিআই নিয়েছে। এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।” তবে আন্দোলনের অভিমুখ পাল্টাচ্ছেন বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এই কেস যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই-কে তুলে না দিতেন তাহলে বিরোধীরা বলত মমতার মদতপুষ্ট কলকাতা পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্ত দীর্ঘায়িত করছে। সেটা হয়নি। সিবিআই তদন্ত করছে।”
এরপরই কাঞ্চন প্রশ্ন করেন, “আমার প্রশ্ন নবান্ন অভিযান করে কি নবান্ন থেকে দোষীর শাস্তির অর্ডার হবে? আমার মনে হয় সেটা হওয়া সম্ভব নয়। এইসব করে কিছু মানুষ মূল বিষয় থেকে তার অভিমুখটা পাল্টে দিচ্ছেন। আন্দোলন সিজিও থেকে কেন হচ্ছে না? তদন্ত তো সিবিআই করছে। আমরা চাইছি ধর্ষকের ফাঁসি।”
এরপর চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে কাঞ্চনের প্রশ্ন, “আজ আন্দোলনের নামে ডাক্তাররা কর্মবিরতি করছেন। সবাই বলে ডাক্তার মানে ভগবান। গ্রাম থেকে আসা মানুষ ছুটে আসেন চিকিৎসার জন্য। আপনারা আন্দোলন করুন। তবে রোগীরা কী অপরাধ করেছে? এমন কোনও কাজ আপনাদের করা উচিত নয় যে ডাক্তার ভগবান বলতে দু’বার ভাবেন।” পরক্ষণেই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “এটা গণতান্ত্রিক দেশ। সবাই নিজের মতো কাজ করতে পারেন। অনেকেই শুনছি পুজোর অনুদান নেবেন না বলছেন। সেটা তাদের ব্যক্তিগত মতামত।” তারপরই কাঞ্চন বলেন, “যাঁরা কর্মবিরতি করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। ভাল। তাঁরা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো নাকি নিচ্ছেন না? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো? না নেবেন না? এটা আমার প্রশ্ন।”