হুগলি: সাতসকালেই পঞ্চায়েত ভবনে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। হতভম্ব স্থানীয় বাসিন্দা। পুড়ে ছাই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র। ঘটনাস্থলে দমকল, বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে খানাকুলের অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ভেতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ধীরে ধীরে গোটা ভবনটি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ভবনের ভিতর দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। শোড়গোল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। বাড়ি থেকে বালতি, গামলা করে জল এনে ঢালতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পান তৃণমূল কর্মী, নেতারাও। তাঁরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। খবর দেয় পুলিশ ও দমকলে।
দমকলকে খবর দেওয়া হলেও রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি হয়। পরবর্তীতে ঘুরপথে আরামবাগ থেকে দুটি দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পঞ্চায়েত কার্যালয়টির তিন তলা ভবন সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
পঞ্চায়েতের প্রধান রিঙ্কু বরের বক্তব্য, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে রাজি নয় পুড়শুড়ার বিজেপির বিধায়ক বিমান ঘোষ। অন্যদিকে খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতে। আর পঞ্চায়েতে আগুন লাগার ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান জয়দেব জানা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকাল-সন্ধ্যায় কালবৈশাখীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গ্রাম। এলাকার বিদ্যুত চলে যায়। কালবৈশাখী ঝড়ের জন্য যদি বিদ্যুত না থাকে তাহলে শর্ট সার্কিট হল কীভাবে? আর যদি বাজ পড়ে তাহলে স্থানীয় মানুষজন জানতে পারলেন না কীভাবে? এই বিষয়গুলো নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে। দমকল আধিকারিক জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাঁদের কাজ আগুন নেভানো। তারপর কারণ খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। কোথাও কোনও পকেট ফায়ার আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।