Dankuni: বন্দনার বিয়ের ভার নিলেন আশরফ-মামুদরা, উপহার দিলেন রামলালার ছবি

Sanath Majhi | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 23, 2024 | 8:01 AM

Hooghly: শেখ আশরফ বলেন, "আমাদের ভারতবর্ষে সম্প্রীতিই শেষ কথা, মানবতাই শেষ কথা। এটাই সবথেকে বড় ধর্ম। যার মধ্যে মানবিকতা নেই, তাঁর ধর্মের কোনও মূল্য নেই। সম্প্রীতির বাংলাতে আমরা মিলেমিশেই থাকব। আর এটা আমার পাশের পাড়া। এখানকার মানুষের সঙ্গে আমার শ্রদ্ধা ভালবাসার সম্পর্ক। এটা তো আমাকে করতেই হবে।"

Dankuni: বন্দনার বিয়ের ভার নিলেন আশরফ-মামুদরা, উপহার দিলেন রামলালার ছবি
নবদম্পতির সঙ্গে আশরফরা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

হুগলি: আমাদের একটাই দেশ, একতা যে দেশের প্রধান শক্তি। জন্মসূত্রে ধর্ম পৃথক হতেই পারে, তবে কর্মের হাত ধরে মানবতাই প্রতিটা মানুষের ধর্ম। ডানকুনির বাবলু সরকার মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন। আর্থিক দুঃস্থতার কারণে মেয়ের বিয়ের কথা এগোলেও পিছিয়ে আসতে হচ্ছিল। সোমবার তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালেন শেখ আশরফ, শেখ মামুদরা। নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিলেন বাবলু সরকারের মেয়ে বন্দনার। সমস্ত খরচ বহন করলেন তাঁরাই। শুধু তাই নয়, গতকাল যেহেতু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান ছিল, তাই নবদম্পতি উপহার হিসাবে তুলে দিলেন সেই রামলালারই ছবি।

ডানকুনি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁতরাপাড়ার বন্দনা সরকার। বন্দনার বাবা সেভাবে কিছুই করেন না। ঘরে দুই মেয়ে। মেয়ের বিয়ে নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলেন। তবে স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ আশরফ আশ্বস্ত করেন, সমস্ত খরচ তাঁরাই দেবেন। সেইমতোই সোমবার বিয়ের আয়োজন করা হয়।

শেখ আশরফ বলেন, “আমাদের ভারতবর্ষে সম্প্রীতিই শেষ কথা, মানবতাই শেষ কথা। এটাই সবথেকে বড় ধর্ম। যার মধ্যে মানবিকতা নেই, তাঁর ধর্মের কোনও মূল্য নেই। সম্প্রীতির বাংলাতে আমরা মিলেমিশেই থাকব। আর এটা আমার পাশের পাড়া। এখানকার মানুষের সঙ্গে আমার শ্রদ্ধা ভালবাসার সম্পর্ক। এটা তো আমাকে করতেই হবে।”

একই কথা শেখ মামুদের গলাতেও। তিনি বলেন, “সৌভ্রাতৃত্বই আমাদের প্রতিটা মানুষের জীবনে শেষ কথা। আমরা যে যার মতো ধর্মাচরণ করব ঠিকই, তবে সেটা শান্তির পথে হবে। অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়ানোটাই এখানে প্রধান।” মেয়ের বিয়ে দিতে পেরে খুশি বাবলু সরকারও। বারবার আশরফকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

Next Article