আরামবাগ: গোঘাটে গিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর। গোঘাট থানার ওসিকে কাপুরুষ বলে আক্রমণ বিরোধী দলনেতার। সরকারি ধানক্রয় কেন্দ্রে অফিসার না থাকায় বুধবার গোঘাটে পথ অবরোধ করেছিলেন কৃষকরা। অবরোধ তুলতে গিয়ে চাষিদের গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে ওসি অরূপকুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এদিন তারই জবাবদিহি চাইতে যান শুভেন্দু।
পুলিশ কেন চাষিদের গালিগালাজ করবে, গোঘাট থানার ওসির কাছে প্রশ্ন রাখতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আসার আগেই থানা থেকে বেরিয়ে যান গোঘাট ওসি অরূপকুমার মণ্ডল।
অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা আসছেন শুনে হুগলি জেলার গ্রামীণ পুলিশ কার্যত গোঘাট থানার দখল নিয়ে নেয়। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতার পুলিশ কাপুরুষ। উনি পালিয়েছেন। ওনার সেকেন্ড অফিসার ছিলেন। একজন লেডি অফিসার ছিলেন। আমি আমার বক্তব্য জানিয়েছি। উনি কৃষককে যে ভাষায় বলেছেন, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”
শুভেন্দু এদিন গোঘাট থানার বাইরে দাঁড়িয়ে বলেন, ওসি ফোনে ফোনে অনেকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু শুভেন্দু চেয়েছিলেন তাঁর সামনেও নিজের ভুল স্বীকার করুন ওসি। শুভেন্দু বলেন, “আমি ভেবেছিলাম বাইরে এসে বলব মুখ ফসকে উনি বলে ফেলেছেন। কিন্তু উনি তো পালিয়ে গেলেন।”
গত বুধবার গোঘাটের ভিকদাসে আরামবাগ-মেদিনীপুর ৭ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। অভিযোগ, সরকারি ধান ক্রয়কেন্দ্রে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাষিদের ধানে বাটা কাটা হচ্ছিল। এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সরকারি ক্যাম্পে ধান দিতে এসেও সরকারি অফিসারদের দেখা পাননি। এরপরই ক্ষোভে পথ অবরোধে বসেন কৃষকরা। প্রায় এক ঘণ্টা পথ অবরোধ চলার পর গোঘাটের ওসি অরূপ মণ্ডল বিশাল বাহিনী নিয়ে সেখানে যান। অভিযোগ, গালিগালাজ, টানাহেঁচড়া করে কৃষকদের সেখান থেকে তোলা হয়। শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিয়োও শেয়ার করেছিলেন। পুলিশকে সংযত হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এদিন সোজা গিয়ে হাজির হন গোঘাট থানায়।